শুক্রবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
এসময় মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খুব অসুস্থ।
তিনি বলেন, ৫ সেপ্টেেম্বরে যখন জোর করে দেশনেত্রীকে আদালতে আনা হয়েছিল তখন তিনি নিজেও বলেছিলেন, তিনি খুব অসুস্থ, আর আদালতে আসতে পারবেন না।
আইন অনুযায়ী দেশের কোনো অসুস্থ নাগরিক সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বিচারকার্য চালানো যায় না উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া এখন যে অবস্থায় আছেন, তাতে তার জীবন নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। সরকার আমাদের কথায় কর্ণপাত না করে শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য পরিত্যক্ত নির্জন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্বাস্থ্যকর একটি কক্ষে আবদ্ধ করে রেখেছে। একজন সাধারণ বন্দির সঙ্গেও এ ধরনের আচরণ করা হয় না। সরকার তাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রেখে এক তরফা নির্বাচনে নিজেদের নির্বাচিত ঘোষণা করার নীল নকশা নিয়েই এ অপপ্রয়াস চালাচ্ছে সরকার।
জিয়াউর রহমানের সময় কর্নেল তাহেরকে কারাগারে আদালত বসিয়ে বিচার করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, তখন মার্শাল ল' ছিল।
কারাগারে খালেদার সঙ্গে তার সহকারী ফাতেমা কোন আইনে জেলে আছেন জানতে চাইলে ফখরুল পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, খালেদা জিয়াকে কোন আইনে আটক রাখা হয়েছে, আমরা সেটা জানতে চাই।
ফখরুল আরও বলেন, এতো ভয় কেনো, কারণটা বুঝি না। সব সময়তো বলেন, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আব্দুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৮
এমএইচ/এএটি/টিএ/এমজেএফ