শনিবার (০৮ সেপ্টেম্বর) রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে অসুস্থ।
এ বিষয়ে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। দীর্ঘদিন ধরেই তার বাম হাত ও বাম পায়ে ব্যথা। তিনি হাত-পা নড়াতে পারেন না। আমরা বার বার সরকারকে অনুরোধ করেছি তাকে বিশেষায়িত হাসপাতাল ইউনাইটেড অথবা অ্যাপোলোতে নিয়ে চিকিৎসা করানোর জন্য। কিন্তু সরকার বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে না।
তিনি বলেন, এর আগেও আমিসহ দলের তিনজন নেতা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছিলাম। তিনি আমাদের সামনেই আইজি প্রিজনকে ডেকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছিলেনও। পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিদেশে চলে যাওয়ায় সে ফাইল প্রধানমন্ত্রীর কাছে চলে যায়। কারণ কোনো মন্ত্রী বিদেশে গেলে সেই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব থাকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে। তারপর আর এই ফাইল নড়েনি। সে অবস্থায়ই আছে। এবার আমরা আরও উচ্চ পর্যায়ের দলীয় নেতাদের নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে যাবো। তাকে বলবো যেনো দ্রুত বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
জানা গেছে, ৬ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব আব্দুস সাত্তার সাক্ষরিত একটি চিঠি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে দলের মহাসচিব ও নয়জন স্থায়ী কমিটির সদস্য মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সময় চান। পরে শনিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাদের জানানো হয়- রোববার বিকেল ৩টায় সচিবালয়ে গিয়ে তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন।
মহাসচিবের নেতৃত্বে যারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন তারা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, লেফট্যানেন্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ড. আব্দুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৮
এমএইচ/টিএ