ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

সরকারের দিন শেষ হয়ে এসেছে: ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮
সরকারের দিন শেষ হয়ে এসেছে: ফখরুল মানববন্ধনে বক্তব্য রাখছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর/ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকার সন্ত্রাসী সরকারে পরিণত হয়েছে, এই সরকারকে চলে যেতে হবে। তাদের দিন শেষ হয়ে এসেছে। জনগণ তাদের কাছ থেকে মুক্তি চায়।

আওয়ামী লীগ এখন দেউলিয়া রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, এখন আমাদের ইস্পাত কঠিন ঐক্য দরকার। জনগণ ও সমস্ত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐক্য তৈরি করে এই ভয়াবহ দানব থেকে দেশকে মুক্তি করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে প্রায় ৮ মাস যাবত আটক রাখা হয়েছে। তাকে অন্যায়ভাবে একটার পর একটা মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। তাকে অবশ্যই মুক্তি দিতে হবে। আমরা তার মুক্তি চাচ্ছি, এটা কোনো দয়া চাচ্ছি না।

তিনি বলেন, এই সরকার গত ১০ বছর ধরে দেশকে ধ্বংস্তূপে পরিণত করেছে। আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে যা অর্জন করেছিলাম সব ধূলিস্যাৎ করে দিয়েছে। সংসদকে প্রহসনে পরিণত করেছে। কিছু গৃহপালিত লোক দিয়ে সংসদকে অকার্যকর করে রেখেছে। প্রশাসনকে পুরোপুরি দলীয়করণ করা হয়েছে। সাংবাদিকরা আজ স্বাধীনভাবে লিখতে পারেন না।

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, সরকার বিরোধী দলকে ধ্বংস করার জন্য পরিকল্পিতভাবে একটার পর একটা প্লট তৈরি করছে। সারা বাংলাদেশে ভৌতিক মামলা তৈরি করে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। গত কয়েকদিনে দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে লক্ষাধিক মামলা দেওয়া হয়েছে, প্রায় ১২ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশকে ভয়াবহ নরক, নির্যাতনকারী দেশে পরিণত করেছে। এ থেকে আমাদের মু্ক্তি পেতে হবে। এজন্য সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আজকে আবার আমরা আহবান জানাচ্ছি, খালেদা জিয়া যে আহবান জানিয়ে গেছেন, সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

তিনি বলেন, এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। তফসিল ঘোষণার আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে, একটি নিরপেক্ষ সরকার তৈরি করতে হবে। নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে। নির্বাচন পরিচালনার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে কোনো নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। সরকার যদি খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয় তাহলে বোঝা যাবে এই সরকার নির্বাচন চায়।

মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন,  বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু, সেলিমা রহমান, ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, জয়নুল আবদিন ফারুক, আব্দুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম,  স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান প্রমুখ।

মানববন্ধন পরিচালনা করেন বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলিম।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮
এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।