নিউয়র্ক সফরের বিষয় জানতে চাইলে বুধবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান বাংলানিউজকে জানান, এ বিষয়ে তার কিছু জানা নেই। তবে মহাসচিব যে দেশের বাইরে গেছেন এটা তিনি অস্বীকার করেননি।
জানা গেছে, মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ২টায় এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে মির্জা ফখরুল ঢাকা ত্যাগ করেন। এসময় তার সঙ্গে দলটির নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়ালও ছিলেন।
একটি সূত্র জানায়, জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য সংস্থাটির সদর দফতরে বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠেয় এক আলোচনায় অংশ নেবেন বিএনপির মহাসচিব। এতে বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দলের ও সরকারের অবস্থান তুলে ধরবেন মির্জা ফখরুল। এ সফরে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠক হতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।
এর আগের খবরে বলা হয়, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিএনপির সাথে আলোচনা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন জাতিসঙ্ঘের মহাসচিব। দলটিকে এই আগ্রহের কথা জানিয়ে গত সপ্তাহে বিএনপি মহাসচিবকে নিউ ইয়র্কে যেতে আমন্ত্রণ পাঠিয়েছেন অ্যান্তোনিও গুতেরেস। দলটির উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্র এ খবর নিশ্চিত করেছে।
এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন মির্জা ফখরুল। এসময় তিনি জাতিসংঘ মহাসচিবের আমন্ত্রণের বিষয়টি তাদের অবহিত করেন।
জানা গেছে, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির মাধ্যমে বিএনপির মহাসচিব বরাবর আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। বিএনপি মহাসচিবের নেতৃত্বে দলের স্থায়ী কমিটি ও কূটনীতি সংশ্লিষ্ট কয়েকজন নেতা শিগগিরই যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দেবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বাংলানিউজকে বলেন, আমি এখনও অফিসিয়াল কোনো ইনফরমেশন পাইনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮
এমএইচ/ওএইচ/