তিনি বলেন, অন্যথায় জাতি আপনাদের ক্ষমা করবে না। এই দেশের মানুষ আপনাদের ক্ষমা করবে না।
শুক্রবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত চিন্তিত ও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছি যে, এই দেশে আসলে গণতন্ত্র পুনরায় প্রতিষ্ঠা হওয়ার কোনো সুযোগ পাওয়া যাবে কি না? আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি, নির্বাচনকে সামনে রেখে এই অবৈধ সরকার ড্রাম ঢোল বাজাচ্ছে, তাদের মতো করে নির্বাচনকে সাজিয়ে নেওয়ার জন্য সব কাজ করছে।
পরিসংখ্যান তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মামলার সংখ্যা- ৩ হাজার ৭৩৬। মোট এজাহার নামীয় আসামির সংখ্যা ৩ লাখ ১৩ হাজার ১৩০। এজাহারে অজ্ঞাত আসামির সংখ্যা ২ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৩। আর এ সময়ে গ্রেফতার হয়েছে ৩ হাজার ৬৯০ জন।
তিনি বলেন, এটাই এখন সবচেয়ে বড় বাধা হয়েছে দাঁড়াচ্ছে সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথে। যে দলটি সবচেয়ে বড় বিরোধী দল, যে দলের প্রতিটি এলাকায় সমর্থক আছে, সেই দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে এভাবে মামলা দিয়ে গোটা নির্বাচনকে অনিশ্চিত করে ফেলছে।
মামলা ও গ্রেফতারকে সুদূর প্রসারী চক্রান্ত উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনে বিরোধী দল যাতে অংশগ্রহণ করতে না পারে সে জন্য এ ব্যবস্থা। এই প্রসেসটা অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, অবাক লাগে বৃহস্পতিবার টেলিভিশনের এক রিপোর্টার বললেন- আমি কিভাবে রিপোর্ট করবো? ডিজিটাল আইনে বলা হয়েছে যদি কেউ বিনা অনুমতিতে সরকারি অথবা বেসরকারি অফিসে যায় এবং কোনো তথ্য সংগ্রহ করে তাহলে সেটার সাজা হচ্ছে ১৪ বছর জেল বা ২৫ লাখ টাকা জরিমানা। এটা গণতন্ত্র? আপনারা স্বাধীন সাংবাদিক? আমরা কী বলবো, কোথায় যাব, কার কাছে যাব?
যেসব দল বলছে দেশে গণতন্ত্র নেই, গণতন্ত্রের অবস্থা নড়বড়ে, তাদের দলের অবস্থাই নড়বড়ে; প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা আপনারাই ভালো বুঝতে পারবেন। কালকেও পত্রিকায় ছবি দেখেছেন বড় বড় চাপাতি নিয়ে কারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। দলের অবস্থা কী আছে না আছে এটা নিরপেক্ষ নির্বাচন দিক না। কারসাজি করে চতুর্দিক থেকে কৌশল না করে, অত্যাচার নির্যাতন বন্ধ করে দিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে দেখুক না কার নড়বড়ে অবস্থা!
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার শনিবারের সমাবেশে বিএনপি অংশ নেবে কি না জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি, পরে জানাবো।
সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বইয়ের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের প্রতিক্রিয়া তো আগেই জানিয়ে দিয়েছি। আমরা আগেই যা বলেছি একেবারে হুবহু তাই হয়েছে। আমরা তো এতটুকু ভুল বলিনি।
খালেদা জিয়াকে বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়ার দাবি প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, দাবি দাওয়া প্রশ্ন না, প্রশ্ন হলো তার চিকিৎসা দরকার। এখানে দাবি থেকে সরে আসা না আসার বিষয় না। আমরা তার সুচিকিৎসা চাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮
এমএইচ/এমজেএফ