বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে এ মামলায় সিদ্ধিরগঞ্জের তিন এবং ফতুল্লার চারজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
সিদ্ধিরগঞ্জের গ্রেফতাররা হলেন- ছাত্রদল নেতা শাহাদাৎ হোসেন, বিএনপি নেতা মমিন ও রুবেল।
তাদের কাছ থেকে পাঁচটি ককটেল, পাঁচটি লাঠি, গাড়ি ভাঙার ১০ থেকে ১৫টি কাঠের টুকরা, বিস্ফোরিত ককটেলের কিছু অংশ ও একটি পুরাতন টায়ার উদ্ধার করা হয়েছে বলে মামলায় দেখানো হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন- গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, ইকবাল হোসেন, ফজলুল হক, গোলজার খান, জসিম, কানা আনার ওরফে বোমা আনোয়ারসহ আরও অনেক।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামিরা ২১ আগস্টের মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বুধবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে সাকিনস্থ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিভিন্ন অস্ত্র এবং বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে মিছিল ও ভাঙচুর করেন। এসময় তারা ককটেলেরও বিস্ফোরণ ঘটায়। সেখান থেকেই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তারা বিভিন্ন সরকারি ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলেও অভিযোগ আনা হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সাত্তার টিটু বাংলানিউজকে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগ রয়েছে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে, ফতুল্লায় গ্রেফতাররা হলেন- ছাত্রদল নেতা রাসেল, কুতুবপুর ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আনোয়ার, বিএনপি কর্মী হাবিব শেখ ও ফতুল্লা থানা যুবদলের সহ সভাপতি জয়নাল আবেদীন।
তাদের কাছ থেকে সাতটি ককটেল, ২০টি লাঠি, ১০টি রড, গাড়ি ভাঙার ২০ থেকে ২৫টি কাঠের টুকরা ও একটি পুরাতন ছোট টায়ার উদ্ধার করা হয়েছে বলে মামলায় দেখানো হয়।
এ মামলার আসামিরা হলেন- লুৎফর রহমান খোকা, নজরুল ইসলাম পান্না মোল্লা, সুলতান মাহমুদ মোল্লাসহ ১৫০ জন।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের বাংলানিউজকে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৮
এপি/টিএ