বুধবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে নগরীর সদর রোড অশ্বিনী কুমার হলের সামনে সদররোড থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটক পাঁচজন হলেন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মাহফুজুল আলম খান মিঠু, বিএম কলেজ ছাত্রদল নেতা ওবায়দুল ইসলাম শাওন, জেলা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক লেলিন খান মোর্শেদ, সদর উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নাইমুল হাসান প্রিন্স ও জেলা ছাত্রদল নেতা কাশি হোসেন রিমন।
এদিকে পুলিশি বেস্টনির মধ্যে স্বল্প সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করার চেষ্টা করে মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতরা। তবে মানববন্ধন কর্মসূচি শুরুর পরপরই পুলিশ বাধা দিলে নেতারা তা বন্ধ করে দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করেন।
এতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান সারওয়ার, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি এবায়দুল হক চাঁন, উত্তর জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ, মহানগর বিএনপি সিনিয়র নেতা অ্যাডভোকেট আলী হায়দার বাবুল, জেলা দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল কালাম শাহিন প্রমুখ।
কেন্দীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও মহানগর বিএনপির সভাপতি মজিবর রহমান সারওয়ার বলেন, সরকার একদিকে সংলাপের কথা বলছে, অপরদিকে নেতাকর্মীদের আটক করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করেছে। এমন অবস্থা চলতে দেওয়া যায় না। সরকার যতোই চিন্তা করুক, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, কেন্দ্রীয় কমর্সূচির অংশ হিসেবে অশ্বিনী কুমার হলের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করে মহানগর ও জেলা বিএনপি। সেখানে যোগ দিতে যাওয়ার সময় পুলিশ জেলা ছাত্রদল সভাপতি মাহফুজুল আলম মিঠুসহ পাঁচজনকে আটক করে পুলিশ।
কর্মসূচিকে ঘিরে সকাল থেকেই দলীয় কার্যালয় ও আশপাশের এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিলো।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, মানববন্ধনকে ঘিরে শান্তিপূর্ণ শহরে বিশৃংঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করলে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৮
এমএস/এএটি