শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে কেশবপুর পাবলিক ময়দানে দ্বিতীয় জানাজা শেষে সন্ধ্যায় উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের বাগদাহ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে মা-বাবার পাশে তাকে দাফন করা হয়। শেষ শ্রদ্ধা জানাতে নামাজে জানাজায় লাখো মানুষের ঢল নামে।
এরআগে ঢাকা থেকে মরদেহ নেওয়ার পর দুপুর ১২টার দিকে কেশবপুর পাবলিক মাঠে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একাদশ সংসদ নির্বাচনে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী আবু বকর আবুসহ আটজন প্রার্থী ১২ নভেম্বর ফরম কেনেন। ১৯ নভেম্বর সাক্ষাৎকার বোর্ডে অংশ নেওয়ার জন্য পল্টন এলাকার মেট্রোপলিটন হোটেলে চতুর্থতলায় ৪১৩ নম্বর রুমে অবস্থান করছিলেন। কিন্তু ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যার পর থেকে তিনি নিখোঁজ হন। এরপর একটি মোবাইল ফোন থেকে কল করে কেশবপুরে তার এক ভাগনের কাছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
এরপর আবু বকরকে জীবিত ফেরত পাওয়ার আশায় ১৯ নভেম্বর সকালে বিকাশে মাধ্যমে দেড়লাখ টাকা পরিশোধ করেন পরিবারের সদস্যরা। একটু পর ওই চক্রটি আরও ফোন করে ৫০ হাজার টাকা দাবি করলে আবারও ২০হাজার টাকা পরিশোধ করেন। তারপর থেকে ওই চক্রের সব মোবাইল নম্বর বন্ধ রয়েছে।
তারপর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন তেলঘাট এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে ভাসতে দেখে পুলিশ উদ্ধার করে অজ্ঞাতনামা হিসেবে ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠান। সেখানে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে আবু বকর আবুর মরদেহ শনাক্ত করেন তার ভাতিজা হুমায়ূন কবির।
১৯৭৮ সালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই আবু বকর আবু এই দলের রাজনীতিতে জড়িত। ব্যক্তিগত জীবনে আবু বকর আবু বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হননি। পুরো সময় দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে কাটিয়েছেন। তিনি প্রায় দেড় যুগ ধরে কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া যশোর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এবং মজিদপুর ইউপির চার মেয়াদে নির্বাচিত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৮
ওএইচ/