বিভিন্ন আসনের প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করে নির্বাচন কমিশন থেকে প্রার্থিতা ফিরে পান। বৃহস্পতিবার (০৬ ডিসেম্বর) শুরু হওয়া আপিল শুনানি শেষ হবে শনিবার (০৮ ডিসেম্বর)।
এদিকে শুনানির দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার (০৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন ১৫০টি আপিল আবেদন শোনেন। এর মধ্যে ৭৮ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। ৬৫ জনের আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে। আর ৭টি আবেদন পেন্ডিং রেখেছে নির্বাচন কমিশন। এদিন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছে সবচেয়ে বেশি বিএনপি প্রার্থী। এরপরেই রয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অবস্থান।
জানা যায়, আপিল শুনানির দুইদিনে ১৫৮ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। আর বাতিল বা খারিজ হয়েছে ১৪১ জনের আপিল।
দ্বিতীয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া বিএনপির ২১ প্রার্থী
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের মোহাম্মদ জিয়াউদ্দীন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের মোহাম্মদ মুসলেম উদ্দীন, চট্টগ্রাম-৭ আসনের মোহাম্মদ আবু আহমেদ হাসনাত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের আব্দুল খালেক, বরগুনা-১ আসনে মোহাম্মদ মতিয়ার রহমান তালুকদার, ভোলা-১ আসনের গোলাম নবী আলমগীর, পটুয়াখালী-২ আসনের মোহাম্মদ শহিদুল আলম তালুকদার, ঢাকা-১৬ আসনে একেএম মোয়াজ্জেম হোসেন, কিশোরগঞ্জ-১ আসনে খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল খান, মানিকগঞ্জ-২ আসনে মঈনুল ইসলাম খান, মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, মাদারীপুর-১ আসনে নাদিরা আক্তার, ঢাকা-১ আসনে ফাহিমা হোসাইন জুবলী, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে সাইফুল ইসলাম সুমন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মোহাম্মদ মামুন মাহমুদ, মৌলভীবাজার-১ আসনে এবাদুর রহমান চৌধুরী, সুনামগঞ্জ-৪ আসনে দেওয়ান জয়নুল জাকেরিন, টাঙ্গাইল-৬ আসনের নূর মোহাম্মদ খান, শরীয়তপুর-১ আসনের সরদার একেএম নাসীর উদ্দিন, জামালপুর-১ আসনের এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, নেত্রকোনা-৫ আসনের মোহাম্মদ আবু তাহের তালুকদার।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কুড়িগ্রাম-৪ আসনের মোহাম্মদ জাকির হোসেন ও গণফোরামের হবিগঞ্জ-১ আসনের রেজা কিবরিয়াও প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া জাতীয় পার্টির ৭ জন
চাঁদপুর-৫ আসনের খোরশেদ আলম খুশু, বরিশাল-২ আসনের মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা), নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সালাউদ্দীন খোকা, ঢাকা-৮ আসনে মাহমুদা রহমান মুন্নী, ঢাকা-১৬ আসনে মোহাম্মদ আমানত হোসেন, মানিকগঞ্জ-২ আসনে এসএম আব্দুল মান্নান ও সিলেট-৫ আসনের সেলিম উদ্দিন।
প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া জাকের পার্টির ৭ জন
পটুয়াখালী-১ আসনে মোহাম্মদ আব্দুর রশীদ, বরিশাল-১ আসনে মোহাম্মদ বাদশা মিয়া, শরীয়তপুর-২ আসনে মোহাম্মদ বাদল কাজী, মাদারীপুর-১ আসনে মোহাম্মদ শাহ নেওয়াজ, কিশোরগঞ্জ-২ আসনে এরশাদ হোসাইন, ঢাকা-১ আসনে সামসউদ্দীন আহমেদ ও ময়মনসিংহ-৫ আসনে মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।
প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ৪ জন
নরসিংদী-২ আসনের জায়দুল কবীর, গাজীপুর-৩ আসনে মোহাম্মদ জহিরুল হক মণ্ডল বাচ্চু, কিশোরগঞ্জ-৫ আসনে সেলিনা সুলতানা, রংপুর-২ আসনের কুমারেশ চন্দ্র রায়।
প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া ইসলামী ঐক্যজোটের ২ জন
কুমিল্লা-১ আসনে মোহাম্মদ আলতাফ হুসাইন, সিলেট-৫ আসনে এমএ মতিন চৌধুরী।
প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) ৫ জন
ফরিদপুর-৪ আসনের আতাউর রহমান, ঢাকা-২ আসনে সুকান্ত শফি চৌধুরী, কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে ডা. এনামুল হক ইদ্রিস, কিশোরগঞ্জ-২ আসনের নুরুল ইসলাম, শরীয়তপুর-৩ আসনে সুশান্ত ভাওয়াল।
প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ৬ জন
ঢাকা-৩ আসনের মোহাম্মদ সুলতান আহমদ খান, কিশোরগঞ্জ-২ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন রুবেল, কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে মোহাম্মদ মুসা খান, টাঙ্গাইল-৮ আসনে মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ মিয়া, ময়মনসিংহ-১১ আসনে মোহাম্মদ আমানউল্লাহ সরকার, ময়মনসিংহ-১ আসনে মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ।
প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ৩ জন
সুনামগঞ্জ-৪ আসনে মোহাম্মদ দেলোয়ার, টাঙ্গাইল-৬ আসনে মামুনুর রহমান, টাঙ্গাইল-৩ আসনে এসএম চান মিয়া।
প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের ৩ জন
সুনামগঞ্জ-৪ আসনে মোহাম্মদ আজিজুল হক, ঢাকা-১৮ আসনে সাইফ উদ্দীন আহমদ খান ও খেলাফত মজলিসের টাঙ্গাইল-৭ আসনের সৈয়দ মজিবর রহমান।
এছাড়াও ঢাকা-৮ আসনে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এসএম সরওয়ার, কিশোরগঞ্জ-১ আসনে জেএসডি’র মোহাম্মদ আব্দুর রহমান, ঢাকা-১৮ আসনে শহীদ উদ্দীন মাহমুদ, নেত্রকোনা-১ আসনে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির মো. এমএ করীম আব্বাসী, টাঙ্গাইল-৩ আসনে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের মোহাম্মদ আতাউর রহমান খান ও টাঙ্গাইল-৬ আসনে সুলতান মাহমুদ।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে যারা প্রার্থিতা ফিরে পেলেন
চট্টগ্রাম-৮ আসনে হাসান মাহমুদ চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, বরিশাল-২ আসনে একে ফাইয়াজুল হক, বরিশাল-২ আসনে সৈয়দ রুবিনা আক্তার, পটুয়াখালী-২ আসনে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন, টাঙ্গাইল-৬ আসনে মোহাম্মদ আবুল কাশেম, টাঙ্গাইল-৬ আসনে ব্যারিস্টার এম আশরাফুল ইসলাম, মাদারীপুর-২ আসনে আল আমিন মোল্লা, হবিগঞ্জ-১ আসনে অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান, ময়মনসিংহ-৮ আসনে মাহমুদ হাসান সুমন।
শুনানির দ্বিতীয় দিনে আপিল আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে ৬৫ জনের। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব রুহুল আমি হাওলাদার, বিএনপি ডা. জেডএম জাহিদ হোসেন, গণজাগরণ মঞ্চের আহ্বায়ক মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার ও সামির কাদের চৌধুরী।
যে ৭ জনের আপিল আবেদন পেন্ডিং রয়েছে। ঢাকা-২ আসনের বিএনপি প্রার্থী আমান উল্লাহ আমান, ঢাকা-৯ আসনে মির্জা আব্বাস পত্নী আফরোজা আব্বাস, রংপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সিএম সাদিক, গাইবান্ধা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আফরোজা বারী, ঢাকা-২০ আসনের বিএনপির সুলতানা আহমেদ, সুনামগঞ্জ-৩ আসনের বাংলাদেশ মুসলীম লীগের সৈয়দ শাহ মোবাশ্বের আলী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসেন ইসলামী ঐক্যজোটের মো. মেহেদী হাসান।
আগামী ৯ ডিসেম্বর (রোববার) প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। ১০ ডিসেম্বর (সোমবার) প্রতীক বরাদ্দ। আর ৩০ ডিসেম্বর (রোববার) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০১৮
ইইউডি/জেডএস