ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

‘সরকারের হুকুমেই খালেদার মনোনয়ন বাতিল’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৮
‘সরকারের হুকুমেই খালেদার মনোনয়ন বাতিল’ রুহুল কবির রিজভী (ফাইল ফটো)

ঢাকা: সরকারের হুকুমেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশনে (ইসি) একজন কমিশনারের সঠিক রায়কে উপেক্ষা করে স্বার্থ সন্ধানী প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নেতৃত্বে বাকি কমিশনাররা বিভক্ত ও প্রশ্নবিদ্ধ আদেশ দিয়ে খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন।

রোববার (০৯ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, শনিবার আপিল শুনানি চলাকালে আইনগতভাবে ন্যায়ের পক্ষে রায় না দিয়ে বিনা কারণে সময়ক্ষেপণ করেছে ইসি। পরে সংবাদ পেয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নোয়াখালী থেকে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বলেন যে, আইনগতভাবে খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন না। এর এক ঘণ্টার মধ্যেই আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানকের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনে ছুটে যায় এবং নির্বাচন কমিশনকে খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বিষয়ে সতর্ক করে।

‘প্রতিনিধি দল সাংবাদিকদের সামনে বলেন, ইসিকে সতর্ক করতেই তারা কমিশনে এসেছেন এবং আরও বলেন, সাংবিধানিকভাবে খালেদা জিয়ার নির্বাচন করার কোনো সুযোগ নেই। এর কয়েক ঘণ্টা পরই নির্বাচন কমিশন খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিল করে। ’

তিনি বলেন, দেশে এখন গুম, খুন, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনে মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। গত দশ বছরে কেবলমাত্র বিএনপিরই ২০ হাজারের অধিক নেতাকর্মীকে বিভিন্ন কায়দায় হত্যা করা হয়েছে। দেশে এখন প্রতিদিনই দুই থেকে তিনজন মানুষ বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে। এই চরম ক্রান্তিকালে আমরা এক অকল্পনীয় আওয়ামী জুলুমের পরিস্থিতিতে নির্বাচন করছি।

রিজভী আরও বলেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এবং পুলিশ সুপার নুরে আলম সরাসরি নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য একটি সভায় আহ্বান জানিয়েছেন। প্রিজাইডিং অফিসারদের চাপ দেওয়া হচ্ছে, যে-ই ভোট পাক, কিন্তু নৌকা মার্কার ঘোষণা দিতে হবে। এমন কথাও শোনা যাচ্ছে যে, ভোটের আগের রাতে সরকারি কাজের কথা বলে লোকাল থানা থেকে ওসি কিংবা ওসি-তদন্ত কিংবা কোনো পুলিশের পিকআপ বা রিকুইজিশন করা গাড়ি ভোটকেন্দ্রে ঢুকবে। তখন তারা গাড়িতে করে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের চার থেকে পাঁচজনকে সঙ্গে নিয়ে যাবে। বাইরে থেকে মনে হবে পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা চেক করার জন্য ভোটকেন্দ্রে ঢুকছে। এরা আসলে দলেবলে দ্রুততম সময়ে ব্যালট পেপারে সিল মারার কাজ করে বের হয়ে যাবে। রাতের অন্ধকারে মনে হবে পুলিশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা চেকিংয়ের কাজ শেষ করে চলে যাচ্ছে। যারা সহজ সরল মন নিয়ে ভোটকেন্দ্র পাহারা দেবেন বলে ভেবে রেখেছেন, তাদের জানা দরকার যে, তাদের বোকা বানিয়ে পুলিশ নিরাপত্তার আড়ালে ভোটকেন্দ্রে ঢুকে গণতেন্ত্রর সর্বনাশ ঘটাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৮
এমএইচ/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।