ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

জামায়াতের কোনো প্রার্থী নেই, সবই ধানের শীষ: নজরুল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৮
জামায়াতের কোনো প্রার্থী নেই, সবই ধানের শীষ: নজরুল প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর লিখিত দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান

ঢাকা: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর কোনো প্রার্থী নেই বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেছেন, বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ তাদের দেওয়া হয়েছে। জামায়াত তাদের মনোনীত করেনি, বিএনপি মনোনীত করেছে।

নির্বাচন ভবনে শনিবার একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বরাবর কিছু দাবি জানানোর পর সাংবাদিকদের এমন কথা বলেন।

বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাওয়া জামায়াতের নেতাদের পদ-পদবি তাদের দলীয় ওয়েবসাইটে উল্লেখ আছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন,  তারা শুধু ধানের শীষের প্রতীক নয়, তারা বিএনপির মনোনীত প্রার্থী।

বিএনপির দলীয় প্রতীক ধানের শীষে নির্বাচন করছেন তারা। বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ তাদের দেওয়া হয়েছে। জামায়াত তাদের মনোনীত করেনি, বিএনপি মনোনীত করেছে। তাই সংসদ নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর কোনো প্রার্থী নেই।

তিনি আরও বলেন, ওয়েবসাইটে পদ-পদবি থাকুক। আপনারাও যদি আমাদের কাছে মনোনয়ন চান, আমরা দিতে পারি। কোনো ওয়েবসাইটে আপনার নাম কীভাবে আছে সেটা পরের ব্যাপার। আমরা আইনের মাধ্যমে দিতে পারি কি-না সেটা হলো বিষয়। জামায়াত কোনো নিবন্ধিত দল নয়। কারা কারা জামায়াত করে সেই তালিকাও আমাদের কাছে নাই। আমরা যাদের মনোনয়ন দিয়েছি, তারা আমাদের দলের প্রতীক ধানের শীষ পেয়েছেন।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, এরা যদি অবৈধ হতো তাহলে নির্বাচন কমিশন আগেই বলতো- তাদের প্রার্থিতা অবৈধ। তাদের যদি প্রতীক দেওয়া বেআইনি হতো, যখন প্রতীক বরাদ্দ করা হয়, তখন নির্বাচন কমিশন কেন প্রতীক বরাদ্দ করলো? আওয়ামী লীগ সবসময় বলে নির্বাচন কমিশন যা করে তাই আমরা মেনে নেবো, বাধা সৃষ্টি করবো না। এখন কেন আওয়ামী লীগ ইসির কাজে পদে পদে বাধা সৃষ্টি করছে।  

জামায়াতের ২২ নেতা বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। যাদের নাম-পদবি জামায়াতের ওয়েবসাইটে উল্লেখ আছে। যেহেতু তারা জামায়াতের সদস্য বলে এখনো পরিচয় দিচ্ছেন, তাই যুদ্ধাপরাধী দলের সদস্য বা জামায়াতের আদর্শে বিশ্বাসী হওয়ায় জামায়াত নেতাদের প্রার্থিতা বাতিল করতে নির্বাচন কমিশনে দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এছাড়াও ঘাতক দলাল নির্মূল কমিটি, গৌরব ৭১ এবং শহীদদের সন্তানদের গড়া সংগঠন প্রজন্ম ৭১ একই দাবি জানিয়েছে।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি, হামলা, ধড়পাকড়, মামলা অব্যাহত রয়েছে। একদিকে পরিকল্পিতভাবে আদালত কর্তৃক প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করা হচ্ছে, অন্যদিকে বৈধ প্রার্থীদের হয়রানি করা হচ্ছে।  

তিনি বলেন, বরিশাল-৪ আসনের বিএনপিপ্রার্থী শিরিন আক্তারকে গতকাল মারধর করে পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। নরসিংদীর-৩ আসনের মনজুর এলাহীর মিছিলেও আওয়ামী লীগ হামলা করেছে। আবার ঢাকা-১৭ আসনের গুলশান এলাকায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী অভিনেতা ফারুক (আকবর হোসেন পাঠান) ঋণখেলাপি হলেও তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়নি।

বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকার পর্যবেক্ষকদের দেশে আসতে বাধা দিচ্ছে, তাদের ভিসা না দিলে তারা কীভাবে আসবেন? কারণ, সরকার নির্বাচনের নামে যে কাজটি করতে চাচ্ছে সেটি হলো চুরি। আর সেই কাজে বাধা হতে পারে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা। এ কারণেই তারা বিদেশি পর্যবেক্ষক আসতে দিতে চাচ্ছে না।

প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালি, বিজনকান্তি সরকার, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৮
ইইউডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।