বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক মিলাদ মাহফিলের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজ অনেক চক্রান্ত শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, এখন রাজনীতি বুঝে সেই রাজনীতির পক্ষে আমাদের অত্যন্ত শক্তভাবে অবস্থান নিতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের ঘরে ঘরে যেতে হবে, বাংলাদেশের মানুষ বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদীর রাজনীতিকে ধারণ করে। সেজন্যই বিএনপির প্রতি তাদের এতো দুর্বলতা, বিএনপিকে তারা ভালোবাসে। সেই ভালোবাসাকে কাজে লাগিয়ে বিএনপিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে, দেশপ্রেমিক এবং গণতন্ত্রের শক্তিগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ভয়াবহ যে দানব গণতন্ত্র ধ্বংস করছে, আমার স্বাধীনতাকে বিপন্ন করছে, যারা বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে তাদের পরাজিত করতে হবে।
আওয়ামী লীগ এখন গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে। তারা এখন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সেজন্য তারা একের পর এক গণবিরোধী কাজ করে চলেছে। আমরা একদিকে আরাফাত রহমান কোকোর রুহের মাগফেরাত কামনা করবো, তাকে স্মরণ করবো। অন্যদিকে অতিদ্রুত আমরা সংগঠিত হয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনবো। আমাদের নেতা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসবো, যোগ করেন ফখরুল।
মিলাদে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, সেলিমা রহমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদ, কেন্দ্রীয় নেতা শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, শিরিন সুলতানা, মীর নেওয়াজ আলী, হালিমা নেওয়াজ আরলিসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে বনানীতে কোকোর কবর জিয়ারত করেন বিএনপি মহাসচিবসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
আরাফাত রহমান কোকো ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মালয়েশিয়ায় ৪৫ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মালয়েশিয়া থেকে তার মরদেহ ২৮ জানুয়ারি ঢাকায় এনে বনানীতে দাফন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৯
এমএইচ/এসআই