বুধবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন রিজভী।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদের ভোট ডাকাতির নির্বাচন দেশে-বিদেশে কোথাও গ্রহণযোগ্যতা পায়নি।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে যেন ‘লুকোচুরি’ খেলা হচ্ছে। এক মামলায় জামিন নিলে আরেক মামলায় জামিন বাতিল করা হয়েছে। হাইকোর্ট জামিন হলেও আপিল বিভাগ স্থগিত করেছেন। পরে আপিল বিভাগ জামিন দিলে নিম্ন আদালত আরেকটি মামলায় জামিন আটকে দিচ্ছেন। এমনি করে পার হয়ে গেছে একটি বছর। যেসব মামলায় অন্যরা জামিনে রয়েছেন, সেখানে খালেদা জিয়াকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা সেবার সুযোগ পর্যন্ত দিচ্ছে না সরকার। উচ্চ আদালতের নির্দেশে খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও সম্পূর্ণ চিকিৎসা না দিয়ে তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, এবার ক্ষান্ত দেন। একজন গুরুতর অসুস্থ বয়স্ক মানুষের ওপর আর জুলুম করবেন না। একটি বছর কারারুদ্ধ করে রেখে অত্যাচার করছেন। এবারমুক্তি দিন। ইতিহাস পড়ুন, ইতিহাস বড় নির্মম। ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না।
তিনি খালেদা জিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি হাবিব-উন নবী খান সোহেল, যুগ্ম-মহাসচিব লায়ন আসলাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, ফজলুল হক মিলন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, শহিদুল ইসলাম বাবুল, একরামুল হক বিপ্লব, মামুনুর রশিদ মামুন, শেখ মোহাম্মাদ শামীম, হযরত আলী, মো. আবুল হাশেম বকর, মিয়া নুর উদ্দিন অপু, মনোয়ার হোসেনসহ দেশব্যাপী হাজার হাজার বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আব্দুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, আব্দুল আওয়াল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৯
এমএইচ/ওএইচ/