শুক্রবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে খালেদা জিয়ার কারাভোগের এক বছর উপলক্ষে তার মুক্তির দাবিতে বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ড. মোশাররফ বলেন, কোনো গণতান্ত্রিক দেশে সিনিয়র নেতাদের মন্ত্রিসভায় দেশ পরিচালনায় না রেখে, তাদের ফিল্ডের বাইরে গ্যালারিতে রেখে দেশ চালাবেন, এটাও স্বাভাবিক ঘটনা নয়।
তিনি বলেন, আমরা জনগণের ওপর আস্থা রেখে নির্বাচনে গিয়েছিলাম। কেননা জনগণ এই ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে রক্ষা পেতে চেয়েছিল। সেজন্য নেত্রী কারাগার থেকে আমাদের নির্বাচনে অংশ নিতে বলেছিলেন। দেশের ৮০ থেকে ৯০ ভাগ জনগণ খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য ধানের শীষে ভোট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এই কথা বাংলাদেশ সরকারের কাছে গোপন থাকেনি। সেজন্য সরকার ভয়ে ভীত হয়ে যায়।
তিনি বলেন, কাউকে এখন বোঝাতে হবে না। এই শেখ হাসিনা, জনগণের সরকার নয়। আগেরবার ছিল বয়কটের সরকার, এবার হয়েছে ভোট ডাকাতির সরকার। তাদের পক্ষে দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে বেশিদিন টিকে থাকা সম্ভব হবে না। আমার বিশ্বাস আমার নেত্রী খালেদা জিয়াকেও আর বেশি দিন আটকে রাখা সম্ভব হবে না।
নির্বাচনী এলাকার প্রার্থীদের প্রতি নির্যাতিত, ক্ষতিগ্রস্তদের দেখভালের দায়িত্বগ্রহণ করার আহ্বান জানিয়ে ড. মোশাররফ বলেন, যদি না করেন তাহলে ভবিষ্যতে মনিটরিং করে সংগঠনে আপনাদের অমূল্যায়ন করবো। আমাদের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনে যেসব দুর্বলতা আছে সেগুলো অতিদ্রুত সংশোধন করে সংগঠনকে শক্তিশালী করে, ঘুরে দাঁড়াতে হবে।
ড. মোশাররফ বলেন, আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, অতীতেও চেয়েছি। কিন্তু শুধু মুক্তি চাওয়ার দাবির মাধ্যমে তাকে মুক্ত করা সম্ভব হবে না। আন্দোলন করে তাকে মুক্ত করতে হবে। সেজন্য সংগঠনকে শক্তিশালী করে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। আজকে দেশে গণতন্ত্র নেই, সেই গণতন্ত্রকে মুক্ত করার আগে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৯
এমএইচ/জেডএস