ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

আড়াই মাস পর জামিনে মুক্ত খায়রুল কবির খোকন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯
আড়াই মাস পর জামিনে মুক্ত খায়রুল কবির খোকন জামিনে মুক্ত খায়রুল কবির খোকন

নরসিংদী: নরসিংদীতে আড়াই মাস কারাভোগের পর বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপি সভাপতি খায়রুল কবির খোকন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। 

বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে খায়রুল কবির খোকনের স্ত্রী মহিলা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক শিরিন সুলতানা বলেন, সোমবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন খায়রুল কবির খোকন। গত ২৯ নভেম্বর নরসিংদী আদালতে একটি মামলায় হাজিরা দিতে গেলে তাকে কারাগারে পাঠায় আদালত।

কারাগারে থেকেই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নরসিংদী-১ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করেন বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা।  

বিএনপির নেতা-কর্মীদের সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বিস্ফোরক আইনে ও নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে নরসিংদী সদর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। ওই মামলায় বিএনপি ও তার সহযোগী বিভিন্ন সংগঠনের ২৭ জন নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। পরে ২৫ নভেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২৭৩ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সেখানে জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকনকে অভিযুক্ত করা হয়। পরে ২৯ নভেম্বর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর কারাগারে থাকা অবস্থায় নরসিংদী ও ঢাকায় নাশকতা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরো সাতটি মামলায় খোকনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এসব মামলায় বিভিন্ন সময় নরসিংদী ও ঢাকার আদালত এবং সর্বশেষ রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) উচ্চ আদালত থেকে একটি নাশকতার মামলায় জামিন নেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার দুপুরে নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান খায়রুল কবির খোকন।

এ বিষয়ে খোকনের আইনজীবী জয়নাল আবেদীন বাংলানিউজকে বলেন, শাহবাগ থানায় দায়ের করা নাশকতার একটি মামলায় রোববার উচ্চ আদালতে জামিন পান খায়রুল কবির খোকন। সেই জামিনের কাগজ সোমবার নরসিংদী কারাগারে এলে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।


এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, দফতর সম্পাদক আমিনুল হক বাচ্চু, মৎসজীবী দলের সভাপতি হাবিবুর রহমান মিলন ও শাহজাহান মল্লিক জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল রউফ ফকির রনিসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৯
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।