শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে সোনাগাজী পৌর শহরের উত্তর চরচান্দিয়া এলাকায় নুসরাতের বাড়ির সামনে বিএনপির প্রতিনিধি দলের গাড়িবহর পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। বাড়ির আঙিনায় পৌঁছালে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশে দাঁড়াতে জেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ধাক্কাধাক্কি শুরু করলে দেখা দেয় হট্টগোল।
বিশৃঙ্খলা এবং নেতাকর্মীদের ঠেলাঠেলির কারণে সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলারই সুযোগ পাচ্ছিলেন না। এক পর্যায়ে সংবাদকর্মীরা খবর সংগ্রহ বয়কট করে চলে যেতে চাইলে কেন্দ্রীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।
জেলা শাখার নেতাকর্মীদের এমন আচরণে রীতিমত বিব্রত হন কেন্দ্রীয় নেতারা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মীরা নুসরাতের বাবা মাওলানা একেএম মুসা মানিক ও তার বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমানের সঙ্গে কথা বলেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।
তবে এমন একটি শোকাতুর পরিবেশেও বিএনপির কিছু নেতা-কর্মীর এহেন বিশৃঙ্খল আচরণে রীতিমত হতভম্ব হয়ে যান স্থানীয় লোকজন ও সংবাদকর্মীরা।
নুসরাতের স্বজনদের শোক জানাতে আসা বিএনপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, বরকত উল্লাহ বুলু, যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রেহানা আক্তার রানু, নির্বাহী সদস্য আবদুল লতিফ জনি, নিপুন রায় প্রমুখ।
তাদের সঙ্গে নুসরাতের বাড়িতে আসেন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন মিস্টার, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মেসবাহ উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক গাজী হাবীবুল্লাহ মানিক, সোনাগাজী উপজেলা বিএনপির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন সেন্টু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি কপিল উদ্দিন মামুন, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান জুয়েল, ছাত্রদলের সভাপতি সালাহ উদ্দিন মামুন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০১৯
এসএইচডি/এইচএ/