রোববার (৭ জুলাই) সকালে দলটির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় এলাকা, পুরানো পল্টন, মালিবাগ, কাকরাইল, গুলিস্তান, মতিঝিল এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
এরআগে শুক্রবার (৫ জুলাই) বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে বামজোটের ডাকা হরতালে গণমাধ্যমকে নিজেদের সমর্থনের কথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এদিকে রোববার ভোর থেকে রাজধানীতে গণপরিবহন চলতে দেখা যায়। যা সপ্তাহের অন্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সড়কে বাড়তে থাকে গণপরিবহনের সংখ্যা। পাশাপাশি গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ডাকা অর্ধদিবস হরতালের পক্ষে মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। এসময় তারা গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিরসহ রাজনৈতিক নেতাদের হয়রানির প্রতিবাদ জানানো হয়।
হরতালের পক্ষে যেকোনো প্রকার পিকেটিং প্রতিরোধ করতে রাস্তার মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সড়কে মহড়া দিতে দেখা যায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যদের।
অন্যদিকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল বিএনপি বাম জোটের ডাকা এ হরতালকে সমর্থন জানালেও কোনো মিছিল-মিটিং বা সড়কে অবস্থান করতে দেখা যায়নি। সকাল ৭টার দিকে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা ঝোলানো দেখা যায়। এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে দলটির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
এছাড়া হরতালকে সমর্থন জানায় ড. কামাল হোসেনের দল গণফোরাম, আ স ম আবদুর রবের দল জেএসডি, মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য ও অলি আহমেদের এলডিপি। এসব দলেরও হরতালের পক্ষে কোন মিছিল বা তাদের নেতাদের সড়কে দেখা যায়নি।
এ বিষয়ে গাবতলি লিংক (৮ নম্বর) গাড়ির যাত্রী সাইফুল বাংলানিউজকে বলেন, এখন আর আগের মতো হরতাল নেই। হরতাল হলেও গাড়ি চলে, অফিস-আদালত চলে প্রতিদিনের মতো।
একই কথা জানান গাড়িচালক বিশু। তিনি বলেন, হরতাল জেনেও রাস্তায় এসেছি, পেটে ক্ষুধা আছে। তাছাড়া হরতালে এখন গাড়ি ভাঙচুরের সম্ভাবনা নাই তাই যাত্রীরাও ঘর থেকে বের হয়।
এরআগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল জানান, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির কারণে দেশের সাধারণ মানুষসহ ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এ কারণে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা অর্ধদিবস হরতালকে যৌক্তিক হরতাল বলে আমরা মনে করি। হরতালে আমরা নীতিগত সমর্থন জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৯
ইএআর/জিপি