কারা হেফাজতে চিকিৎসাধীন খালেদার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় তারা সেখানে যান।
বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার বাংলানিউজকে বলেন, এমপি গোলাম মোহম্মদ সিরাজ, মোশাররফ হোসেন, জাহিদুর রহমান জাহিদ ও সংরক্ষিত আসনের এমপি রুমিন ফারহানা ৩টার দিকে ম্যাডামের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে ঢুকেছেন।
এর আগে, মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিএসএমএমইউ হাসপাতালে দলের চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করেন বিএনপির তিন সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ, উকিল আবদুস সাত্তার ও আমিনুল ইসলাম।
দেখা করার পর উকিল আব্দুস সাত্তার বাংলানিউজকে বলেন, একসঙ্গে সবাই দেখা করা যাবে না। সেজন্য আমরা তিনজন আজকে দেখা করলাম। বুধবার বাকিরা দেখা করবেন।
হারুনুর রশীদ বাংলানিউজকে বলেন, ম্যাডাম খুব অসুস্থ। তার চিকিৎসা প্রয়োজন। আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাবো, বাস্তবিকই তার জামিন পাওয়ার যে নৈতিক অধিকার, এই অধিকার থেকে তাকে যেন বঞ্চিত করা না হয়।
এদিকে বুধবার দুপুরে সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদ সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করেন। জানতে চাইলে হারুন অর রশীদ বাংলানিউজকে বলেন, আমি বাইরে আছি। একটু পরে কথা বলি।
তবে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করার পর হারুন অর রশীদ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ম্যাডামের ৭৬ বছর বয়স। তিনি নানা রোগে আক্রান্ত। তার জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন। সে কারণে আমরা বলেছি তাকে জামিন দিন এবং তার চিকিৎসা করাবো। এর মধ্যে কোনো রাজনীতি নেই।
খালেদা জিয়াকে কি দেশে নাকি বিদেশে চিকিৎসা করাবেন—এ প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশীদ বলেন, আগে তার মুক্তি হোক। তারপর দেখা যাবে চিকিৎসা দেশে হবে নাকি বিদেশে।
জামিন দেওয়া তো আদালতের বিষয়, তারপরও আপনারা কেন সরকারের কাছে বারবার আবেদন করেন জানতে চাইলে বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশে বিচার ব্যবস্থার কথা আপনারা সবাই জানেন। রাজনীতিকদের নামে অনেক মামলা হয়, সাজাও হয়। আবার তা সরকারের মধ্যস্থতায় ফয়সালাও হয়। অনেক ছোট ছোট নেতা এভাবে জামিন নিয়ে বিদেশে চলেন গেছেন। খালেদা জিয়াতো তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, তিনি কেন জামিন পাবেন না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৯
এমএইচ/এইচএ/