শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় কনফারেন্স হলে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের অনুসারীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনার সময় পুরো কার্যালয় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহিলা দলের একাধিক নেত্রী বাংলানিউজকে বলেন, বেশ কিছুদিন যাবত সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না।
শনিবার বিকেলে নয়াপল্টনে সাংগঠনিক বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। বৈঠকে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন ইউনিটের নেত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শুরুর আগে সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ সভাকক্ষে প্রবেশ করেন। তিনি সভাপতি আফরোজা আব্বাসকে উদ্দেশ্য করে বলেন, কার সভাপতিত্বে সভা হচ্ছে? কীসের সভা হচ্ছে? সভা কে পরিচালনা করছেন? একথা বলার সঙ্গে সঙ্গে আফরোজা আব্বাসের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এসময় সুলতানা গ্রুপের মহানগর উত্তরের সভাপতি পেয়ারা মোস্তফার মেয়ে আরজুকে থাপ্পড় দেন আফরোজা গ্রুপের নেত্রী সুরাইয়া। এ নিয়ে তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তখন বাইরে থেকে খিলগাঁও ও পল্টন এলাকার ছাত্রদল-যুবদলের কর্মীরা আফরোজার পক্ষে এসে সুলতানার বিরুদ্ধে মিছিল দেন। পরে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ হস্তক্ষেপ করলে উভয়পক্ষ স্থান ত্যাগ করে।
জানা গেছে, সংগঠনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানকে সাধারণ সম্পাদক বানাতে চান সভাপতি আফরোজা আব্বাস। এটা নিয়েই মূলত সুলতানা আহমেদের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব চলছে। এছাড়া মহানগরের বিভিন্ন কমিটি দেওয়া নিয়েও দুই জনের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান ও শাম্মী আকতারসহ মহানগরের বিভিন্ন থানার নেত্রীরা আফরোজা আব্বাসের পক্ষে থাকলেও মহানগর উত্তর সভাপতি পেয়ারা মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক আমেনা, সহ-সভাপতি কাউন্সিলর মেহেরুন্নেসা, যুগ্ম-সম্পাদক তামান্না, দক্ষিণের সভাপতি রাজিয়া আলিম, সাধারণ সম্পাদক শামসুন্নাহার আছেন সুলতানা আহমেদের পক্ষে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সন্ধ্যার পরে আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ ও হেলেন জেরিন খানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তারা কেউ রিসিভ করেননি।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৯
এমএইচ/এইচএ/