মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
টিসিবি ও বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের তথ্য তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সরকার পরিচালনার দায়িত্বে ছিল।
তিনি বলেন, পেঁয়াজের দুর্মূল্য নিয়ে আমরা কথা বলেছি। দেশের সব গণমাধ্যমে এ বিষয়ে প্রতিদিন রিপোর্ট বের হচ্ছে। পেঁয়াজের ঝাঁঝ এখন চাল, ডাল, লবণ, তেল, আদা, রসুন থেকে শুরু করে শীতকালীন সব সবজিতে সংক্রমিত হয়েছে। মোটকথা, দৈনন্দিন জীবনে রান্নার জন্য ব্যবহৃত প্রতিটি জিনিষের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে চলে গেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে জনগণকে পেঁয়াজ খেতে নিষেধ করছে। তাহলে চালের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা, আটার দাম পাঁচ থেকে ১০ টাকা বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে তারা এখন কী বলবে? ভাত খাওয়া বন্ধ করে দিতে? রুটি খাওয়া বন্ধ করে দিতে? ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে, সুতরাং তেল খাওয়াও কি বন্ধ করে দিতে হবে?
ফখরুল বলেন, বাজারে দ্রব্যমূল্যে বাড়লে নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব সম্পূর্ণ সরকারের। জনগণ কী খাবে-কী খাবে না তা নির্ধারণের দায়িত্ব সরকারের না। এর ব্যত্যয় ঘটার কোনো সুযোগ নাই। এর ব্যত্যয় ঘটলে বুঝতে হবে, সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ।
সরকার ও ব্যবসায়ীদের সদিচ্ছার ওপরই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য নির্ভরশীল দাবি করে বিএনপি নেতা বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার সঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তার সম্পর্ক রয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ রাখতে সরকার দ্রুত উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে-এটাই জনগণের দাবি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৯
এমএইচ/একে