বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ বিনা অপরাধে ৬৬৫ দিন হলো অবৈধ ক্ষমতার জোরে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি করবেন। ৫ ডিসেম্বররের মধ্যে তার শারীরিক অবস্থার সবশেষ অবস্থার প্রতিবেদন দিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা এতো খাপার যে, এ মূহুর্তে তাকে মুক্তি দিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা না হলে জীবনহানির চরম ঝুঁকি রয়েছে। সুচিকিৎসার অভাবে তার যে ড্যামেজ হচ্ছে, সেটা আর ফিরে আসবে না। তার বাম হাত ও শরীরের বাম দিক প্রায় প্যারালাইজড হওয়ার উপক্রম হয়েছে। কারও সাহায্য ছাড়া তিনি বিছানা থেকে উঠতে পারেন না।
রিজভী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, উচ্চ আদালত থেকে খালেদা জিয়া ন্যায়বিচার পাবেন। তিনি দেশের সিনিয়র সিটিজেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দুইবারের বিরোধীদলীয় নেতা, তিনি গুরুতর অসুস্থ। তাই তার জামিন পাওয়া ন্যায়সঙ্গত অধিকার। এর আগে এধরনের মামলায় উচ্চ আদালত থেকে অনেকেই জামিন পেয়েছেন, সেটির অসংখ্য নজিরও রয়েছে। জাতি তার জামিনের বিষয়ে উচ্চ আদালতের দিকে তাকিয়ে আছে।
বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার জামিন না হলে কি ধরনের কর্মসূচি আসবে জানতে চাইলে রিজভী বলেন, আমরা আর কতদিন অপেক্ষা করবো। আইনি প্রক্রিয়া দেখে তারপর সিদ্ধান্ত হবে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের দু’টি জায়গা আছে। একটা সংসদ আর একটা রাজপথ। যখন দেখবো গণতন্ত্রের স্পেস সংকুচিত তখন রাজপথে গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য কাজ করতে হবে। আর গণতন্ত্রের মুক্তির একটি অন্যতম শর্ত হলো খালেদা জিয়ার মুক্তি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৯
এমএইচ/ওএইচ/