বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, তালিকা প্রকাশের ঘটনায় জনগণ বিস্মিত নয়।
তিনি বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি, তারাই এখন মিথ্যা অপপ্রচারে আর কুৎসা দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চাইছে। সর্বগ্রাসী দখল এবং কূটকৌশলে অবৈধ ক্ষমতা নিরাপদ করার জন্য এখন দেশকে নানাভাবে বিভাজন ও বিভ্রান্তির কুয়াশায় ঢাকতে চাইছে এই সরকার। মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে কারো কারো বিচার হয়েছে। আবার কেউ কেউ আত্মীয়তার বন্ধনের কারণে দিব্যি বহাল তবিয়তে আছেন।
রিজভী বলেন, দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময় পর কারারুদ্ধ দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার স্বজনদের দেখা করতে দেওয়া হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। তার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে আদালতে পেশ করা মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্টের সঙ্গে শারীরিক অবস্থার বাস্তবে কোনো মিল পাননি, দেখতো যাওয়া তার বোনসহ পরিবারের সদস্যরা। আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি দেশনেত্রীকে কারাগারে রেখে বিনা চিকিৎসায় তিলে তিলে নিঃশেষ করাটাই এই সরকারের অভিপ্রায়। বাস্তবে তাই হতে চলেছে। তিনি বর্তমানে ভয়াবহ জীবন-মৃত্যুর সঙ্কটের মধ্যে রয়েছেন। আমি বলতে চাই, দেশনেত্রীর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি বন্ধ করুন। তাকে দ্রুত মুক্তি দিন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
এমএইচ/জেডএস