সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
রিজভী বলেন, ৩০ ডিসেম্বর গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে ঢাকাসহ দেশব্যাপী প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকায় আমরা সমাবেশের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি জায়গা চেয়ে চিঠি দিয়েছি। একটি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অন্যটি নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে। যেকোনো একটি স্থানে আমরা সমাবেশ করবো।
সিটি করপোরেশনের তফসিল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রিজভী বলেন, এ বিষয়ে যথাযথ সময়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
রিজভী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাদের সহযোগিতায় রড, লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরু ও সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা-কর্মীদের ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নারকীয় হামলা চালানো হয়েছে। রক্তাক্ত হয়েছেন নুরসহ কমপক্ষে ৩০ জন শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে চারজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। মেধাবী ছাত্র তুহিন ফারাবি মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। জঙ্গী কায়দায় এই হামলা ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের ধারাবাহিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডেরই বহিঃপ্রকাশ। শিক্ষার্থীদের ওপর যেভাবে ফ্যাসিস্ট কায়দায় হামলা করা হয়েছে তা নজিরবিহীন। আমি এ সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারেফ হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৯
এমএইচ/এইচএডি/