ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিএনপি

দেশ ও গণতন্ত্রকে মুক্ত করার শপথ নিয়েছি: মির্জা ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২০
দেশ ও গণতন্ত্রকে মুক্ত করার শপথ নিয়েছি: মির্জা ফখরুল

ঢাকা: আওয়ামী লীগ একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চায় সেজন্য নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

তিনি বলেন, আজকের এ দিনে সবাই শপথ নিয়েছি, যেকোনো ত্যাগের বিনিময় আমরা দেশ ও গণতন্ত্রকে মুক্ত করবো। আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবো।

জিয়াউর রহমানের আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত করবো এবং বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের দর্শনের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে শেরে-বাংলা নগরে তার সমাধিতে ফাতেহা পাঠ ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান একজন ক্ষণজন্মা পুরুষ ছিলেন। তিনি অতি স্বল্প সময়ে দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। তিনি এদেশের মানুষের মনে একটা স্থায়ী আসন করে নিয়েছেন। তার প্রতিষ্ঠিত বিএনপি এখনও সবচেয়ে বৃহত্তম রাজনৈতিক দল হয়ে আছে এবং জাতিকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব রক্ষা করছে, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে।  

'দুর্ভাগ্য আজকে যখন আমরা তার জন্মদিন পালন করছি সেই সময় আমাদের দলের চেয়ারপারসন জিয়াউর রহমানের যোগ্য উত্তরসূরী তার সহধর্মীনি খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আটক করে রেখেছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বিদেশে নির্বাসিত করে রেখেছে। লাখো নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে, হত্যা-গুম করছে। তারা দেশক একটি চরম অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারী রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে'।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ২০০৮ সালে এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে গণতন্ত্রের সমস্ত পরিসরগুলোকে সংকুচিত করে ফেলেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ৩০ তারিখের নির্বাচন ২৯ তারিখ করে নিয়ে গেছে। আজকে আবার সিটি করপোরেশন নির্বাচন হচ্ছে। সেখানে একটি দলই প্রাধান্য পাচ্ছে। অযোগ্য নির্বাচন কমিশন কোনোরকম ব্যবস্থা নিতে সক্ষম নয়। কারণ তাদের সে যোগ্যতা নেই।

তিনি বলেন, তারা ইভিএম এর মাধ্যমে যে নির্বাচন করতে চাচ্ছে সেটা হচ্ছে আর একটি অপকৌশল। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থাটাকে পুরোপুরিভাবে ধ্বংস করে দেওয়ার একটা কৌশলমাত্র। জনগণের রায় কখনও ইভিএম এর মাধ্যমে প্রকাশিত হবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ, অযোগ্য। তারা কখনও নির্বাচন পরিচালনার যোগ্যতা রাখে না এতেই প্রমাণ হলো। তারা এমন একটা দিনে নির্বাচন দিয়েছিল যেদিন একটি বড় সম্প্রদায়ের বড় পূজা ছিল। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে যেখানে পূজাগুলো হয় সেখানেই নির্বাচনের কেন্দ্রগুলো। সেখানেই একটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। নির্বাচন কমিশনের অযোগ্যতার কারণেই এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল।

ইভিএম নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ইভিএম ব্যবস্থাটাই একটি ত্রুটিপূর্ণ ব্যবস্থা। পৃথিবীতে কোথাও ইভিএমকে ত্রুটিহীন সিস্টেম বলা যায় না। আমাদের পুরোনো যে সিস্টেম ব্যালটে সিল মেরে ভোট দেওয়া, এটাই হলো এখন পর্যন্ত মোটামুটি একটা ব্যবস্থা, যেখানে চুরি ডাকাতি না হলে ফলাফল পাওয়া যায়। কিন্তু ইভিএম ব্যবস্থার মধ্যে যথেস্ট ত্রুটি রয়েছে।

এসময় তার সঙ্গে ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এনি, প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল, দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২০  
এমএইচ/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।