শুক্রবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের উদ্যোগে ‘সিটি নির্বাচনের অভিজ্ঞতা বনাম ভোটের অধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ভোটের দিন প্রার্থীকে পাশে রেখে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ইভিএম নিয়ে আমাদের যে আশঙ্কা ছিল তারা সেটা ১০০ ভাগ প্রমাণ করেছে। আমরা শুধু বলেছিলাম, প্রমাণটা তারাই করেছে।
তিনি বলেন, ভোট দেওয়ার সময় নির্বাচন কমিশনার, কামাল হোসেন সাহেবের আঙ্গুলের ছাপ মিলে না। আঙ্গুলের ছাপ মেলানোর জন্য তারা ইভিএম করেন নাই। তারা প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে সব ক্ষমতা দিয়ে রেখেছেন। শুধু টিপলেই ভোট পাওয়া যায়। এত কষ্ট করে ভোটের আগের রাতে ব্যালট পেপার ছিনতাই করে, ওগুলো ব্যালট বাক্সে ভরে, পাহারা দিয়ে, আবার কোনো জায়গায় হিসাব মিলেনা, কোনো কোনো জায়গায় একশ শতাংশের বেশি ভোট হয়ে যায় এত ঝামেলা আর নেই।
আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও যুবদলের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ইভিএম মেশিন নষ্ট থাকায় এ নির্বাচনে চার ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে আমাকে ভোট দিতে হয়েছে। কিন্তু লাইনে আর কোনো ভোটার নেই। মোহাম্মদপুরের এ কেন্দ্রে আনসার ও পুলিশ ছাড়া আর কেউ ছিলেন না। দিন শেষে সেখানে ১৫০০ ভোট গ্রহণের কথা জানানো হয়।
তিনি বলেন, এ নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি কম সম্পর্কে আওয়ামী লীগের নেতারা মজার মজার তথ্য দিয়েছে।
সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ২০১৪ সালে তারা প্রার্থীবিহীন ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছে। ২০১৮ সালে করেছে আগের রাতের নির্বাচন। এবার করেছে মানুষ ও মেশিনের নির্বাচন।
আলোচনা সভায় আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২০
পিএস/এবি