ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ পৌষ ১৪৩১, ১৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩ রজব ১৪৪৬

বইমেলা

একুশে বইমেলা

পরিসর-নিরাপত্তায় স্বস্তিতে নারীরা

সাজেদা সুইটি, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৬
পরিসর-নিরাপত্তায় স্বস্তিতে নারীরা ছবি: দীপু মালাকার/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: খোলামেলা পরিবেশ, সঙ্গে রয়েছে নিরাপত্তার চাদর। তাই আগের যেকোনো বারের তুলনায় এবার অনেক বেশি স্বস্তিতে ঘুরছেন মেলায় আগত নারীরা।



মঙ্গলবার (০২ ফেব্রুয়ারি) বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপে স্বস্তি ও আনন্দের কথা জানালেন কয়েকজন নারী দর্শনার্থী।

নারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ রয়েছে কর্তব্যরত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের প্রতি- জানালেন তারাও।

আশা ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক সুবর্ণা শিরীন স্বামী-সন্তান নিয়ে এসেছেন মেলায়। পুরো মেলা ঘুরে বেশ স্বস্তির নিঃশ্বাস তার। বাংলানিউজকে বলেন, এবার আগের যেকোনো বারের চেয়ে অনেক ভালো বোধ করছি। পরিবেশ বেশ স্বস্তিদায়ক। বেশি জায়গা নিয়ে করা হয়েছে। স্টলগুলো আগের মতো ঘিঞ্জি নয়।

তিনি আরও বলেন, আগে সোহরাওয়ার্দীর দিকটিতে আলো অনেক কম ছিল। তাই এ অংশটি অফ-ট্র্যাক মনে হতো। জনপ্রিয় প্রকাশনীগুলো এদিকে ছিলো বলে অন্ধকার হলেও আসতাম। কিন্তু মেজাজ খারাপ হতো ব্যবস্থাপকদের প্রতি। এবার ভালো হয়েছে।

‘গতবারও বাচ্চাকে হাতে হাতে রাখতে হয়েছিলো। ঘিঞ্জিতে হারিয়ে ফেলার ভয়ে ভালো করে ঘুরতে পারতাম না। এবার ভালো লাগছে। খোলামেলা অনেক। পুলিশ চারপাশে ঘুরছে। এটা ভালো। এখনতো মাত্র শুরু হলো। কয়েকদিনে আরও ভালো হবে হয়তো’- বলেন আজিমপুর থেকে আসা মুক্তি। তার সঙ্গে ৮ বছরের সন্তান তৌসিফ।

কর্মব্যরত এসআই মামুন ফরাজী বাংলানিউজকে বলেন, সবার নিরাপত্তা, বিশেষ করে নারীদের নিরাপত্তা দিতে আমাদের প্রতি কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। মেলায় ১ হাজার ৪৫৪ জন ফোর্স কর্তব্যরত। এছাড়া কর্মকর্তারা আছেন অনেকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, প্রায় ১শ জন নারী সদস্য এখানে কর্তব্যে আছেন। সাদা পোশাকে আছেন ২০ সদস্য। নারী কর্মকর্তারাতো আছেনই। কোনো অভিযোগে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবেন প্রত্যেকে। স্টল অনুযায়ী, প্রোগ্রাম অনুয়ায়ী সদস্যদের কর্তব্য ভাগও করা আছে।

তিনি বলেন, শুধু অভিযোগ নয়, কাউকে সমস্যায় পড়তে দেখলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাই ক্রস পেট্রোলে রয়েছেন সদস্যরা।

মেলায় ৮টি ওয়াচ টাওয়ার কাজ করবে। দ্বিতীয় দিন পর্যন্ত ৬টি কাজ করছে বলে জানান কর্মকর্তারা।

পুলিশ সদস্যরা জানান, নারীদের সুবিধায় পর্যাপ্ত টয়লেট রয়েছে। নারীদের সুবিধায় একাডেমি বরাবর তারা একটি ফিডিং সেন্টারের প্রস্তাব রেখেছেন। শুধু গেটকেন্দ্রিক নিরাপত্তা নয়, ক্রস পেট্রোলেও জোর দেওয়া হয়েছে। চেকিং বুথ সক্রিয় রয়েছে। ভ্রাম্যমাণ টয়লেট ব্যবস্থা হবে শিগগিরই। আলো বাড়ানো হয়েছে। যেখানে প্রয়োজন আরও আলো দেবে।

মামুন বলেন, মেলার মাত্র দু’দিন কাটছে। আরও কয়েকদিনে নিরাপত্তাসহ অন্য ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হবে। ১৩, ১৪, ২১ ফেব্রুয়ারিতে মেলায় ভিড় বাড়বে। শুক্রবার, শনিবারসহ ছুটির দিনের ভিড় সামলাতে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সকাল ৭টা থেকে দুপুর ২টা, দুপুর ২টা থেকে রাত ১১টা এবং রাত ১১টা থেকে সকাল ৭টা- এভাবে ৮ ঘণ্টা পরপর শিফট পরিবর্তন হয় তাদের।

আজিমপুরের আরেক বাসিন্দা রেদোয়ান মাহমুদ। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, মেয়েদের নিয়ে মেলায় আসা যায় না। সারাক্ষণ টেনশনে থাকতে হয়। কিন্তু এবার কিছুটা ভালো ব্যবস্থা দেখছি। এটা অব্যাহত থাকলে পরিবার নিয়ে আসবো সামনে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৬
এসকেএস/এএ

** গণমাধ্যম সম্পর্কে ধারণা দিতে ডিআরইউ এর স্টল
** ‘বিকৃত উচ্চারণে বাংলা বলবেন না’, রেডিওজকিদের প্রতি তথ্যমন্ত্রী

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।