ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ মাঘ ১৪৩১, ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৪ শাবান ১৪৪৬

বইমেলা

জমে উঠছে বইমেলা

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫
জমে উঠছে বইমেলা

ঢাকা: ধীরে ধীরে জমে উঠছে বইমেলা। তৃতীয়দিনে লেখক পাঠকদের উপস্থিতি বেড়েছে।

বেড়েছে প্রকাশিত নতুন বইয়ের সংখ্যাও। সরস্বতী পূজার ছুটিতে (সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারি) অনেকেই পরিবার নিয়ে আসেন মেলা প্রাঙ্গণে।  

এদিন মেলায় এসেছে নতুন ৩২টি বই। তার মধ্যে আটটি উপন্যাস, ১০টি কবিতার বই, একটি ইতিহাসের বই এসেছে। এছাড়াও রাজনীতির দুটি, গবেষণামূলক একটি, আত্মজীবনীমূলক দুটি বই রয়েছে।  

সোমবার সন্ধ্যার পর মেলা ঘুরে দেখা যায়, মেলায় বিভিন্ন স্থানে দল বেধে অনেকেই আড্ডায় মেতেছেন। গল্প-গানে আড্ডায় তারা আনন্দময় সময় কাটাচ্ছেন।  


বইমেলায় হচ্ছে লেখক পাঠকদের মিলনমেলাও। অনেক পাঠক পছন্দের লেখকের বই খুঁজে অটোগ্রাফও নিচ্ছেন। আজ মেলায় এসেছেন লেখক মনি হায়দার। এ বছর মেলায় তার পাঁচটি বই আসার কথা রয়েছে।  

তিনি বলেন, বইমেলা যেদিন শেষ হয়, সেদিন থেকে আমরা অপেক্ষা করি, পরের বছরের বইমেলার জন্য। আবার আড্ডা হবে, গল্প হবে, সবার সঙ্গে দেখা হবে।  

মেলায় এসেছেন কিশোর সৃজন। তিনি সাইন্স ফিকশান, ভ্রমণ বা রোমাঞ্চকর বই খুঁজছেন। মেলা থেকে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি বইও কিনেছেন। তিনি বলেন, মেলায় এসে বেশ ভালো লাগছে। আমার পছন্দ বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী। সে রকম বই খুঁজছি।  

মেলায় এসেছে শিশুরাও শিশু প্রাঙ্গণে ঘুরে ঘুরে নানা ধরনের বই দেখেছে। অধিকাংশ বই ভিন্ন গল্পের বই। মেলার এ অংশটিও বেশ জমজমাট ছিল আজ।

আজ বইমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘হায়দার আকবর খান রনো আজীবন বিপ্লব-প্রয়াসী' শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।  

সেখানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সোহরাব হাসান। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আবদুল্লাহ আল কাফী রতন, জলি তালুকদার এবং অনন্যা লাবণী পুতুল। সভাপতিত্ব করেন দীপা দত্ত।

সোহরাব হাসান বলেন, বাংলাদেশের বাম রাজনীতির অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন হায়দার আকবর খান রনো। তিনি ছিলেন এদেশের বাম রাজনীতির একই সঙ্গে ছাত্র ও শিক্ষক। অগ্রজদের কাছ থেকে যে শিক্ষা নিয়েছেন সেটাই তিনি পৌঁছে দিয়েছেন অনুজ কমরেডদের কাছে। হায়দার আকবর খান রনো কখনো কট্টরপন্থার অনুসারী ছিলেন না। তিনি ভিন্ন মেরুর বামপন্থী নেতাদের একসঙ্গে বসিয়ে আলোচনার পথ খুলে দিতে সচেষ্ট ছিলেন। বাষট্টির ছাত্র আন্দোলন, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এবং তৎপরবর্তী স্বৈরাচারবিরোধী প্রতিটি আন্দোলনে রনোর ভূমিকা ছিল প্রত্যক্ষ ও গুরুত্বপূর্ণ। রাজনীতির বাইরেও বিচিত্র বিষয়ে তার আগ্রহ ছিল। তিনি মার্ক্সবাদী দর্শন ও বিজ্ঞানের জটিল বিষয়গুলো অত্যন্ত সহজ ভাষায় পাঠকদের কাছে তুলে ধরেছেন।

সভাপতির বক্তব্যে দীপা দত্ত বলেন, হায়দার আকবর খান রনো ছিলেন আজীবন বিপ্লবী। তিনি কেবল কমিউনিস্ট নেতাই নন, একজন তাত্ত্বিকও। তার লেখনী, রাজনৈতিক আদর্শ, সততা, নিষ্ঠা, একাগ্রতা আমাদের জন্য আগামীর প্রেরণা হয়ে থাকবে।

এদিন সরস্বতী পূজার কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিরিক্ত ভীড় দেখা গেছে। বইমেলা উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রবেশপথের ব্যারিকেডগুলো তুলে দেওয়ায় যানজট তৈরি হয়। অন্যদিকে পূজা দেখতে ভক্ত দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল।  

মঙ্গলবার বেলা ৩টায় মেলা শুরু হবে। চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। তবে রাত সাড়ে ৮টার পর কেউ মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন না।

বাংলাদেশ সময়: ০২০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।