ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বাজেট

তিন বছরে ঘর পেয়েছে দুইলাখ ৩৮ হাজার গৃহহীন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫২ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২৩
তিন বছরে ঘর পেয়েছে দুইলাখ ৩৮ হাজার গৃহহীন

ঢাকা: মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২০২০ থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত সারাদেশে ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মধ্যে দুইলাখ ৩৮ হাজার ৬৬৬টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ কথা জানান।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ ‘আশ্রয়ণ প্রকল্প’ দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আশ্রয়ণ প্রকল্প হাতে নেন তার প্রথম মেয়াদে ১৯৯৭ সালে। দ্বিতীয় মেয়াদে এ প্রক্রিয়া আরও জোরদার করা হয়। এ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে জমি ও ঘরের মালিকানা দিয়ে পুনর্বাসন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ মর্মে ঘোষণা দেন। ঘোষণা অনুযায়ী মুজিববর্ষ উপলক্ষে ২০২০ থেকে মার্চ ২০২৩ পর্যন্ত সারাদেশে ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের মধ্যে দুইলাখ ৩৮ হাজার ৬৬৬টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে এপ্রিল ২০২৩ পর্যন্ত পাঁচলাখ ৫৫ হাজার ৪৩২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় দেশের ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষের হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করে ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষকে বিনামূল্যে পরিবারভিত্তিক স্বামী-স্ত্রীর যৌথ নামে দুই শতাংশ জমির মালিকানা দলিল ও নামজারি সম্পাদন করে দেওয়া হয়েছে। এ জমিতে সম্পূর্ণ সরকারি খরচে দুইটি কক্ষ, প্রশস্ত বারান্দা, একটি টয়লেট ও একটি রান্নাঘর সম্বলিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজস্ব ডিজাইনের ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, একটি ঘর কীভাবে সামগ্রিক পারিবারিক কল্যাণ ও সামাজিক উন্নয়নের প্রধান হাতিয়ার হতে পারে তার অনন্য দৃষ্টান্ত এ আশ্রয়ণ প্রকল্প। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন তথা দারিদ্র্য বিমোচনের এ নতুন পদ্ধতি ইতোমধ্যে ‘শেখ হাসিনা মডেল’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।

অর্থমন্ত্রী যে বাজেট বক্তব্য দিচ্ছেন তার শিরোনাম দেওয়া হয়েছে- ‘উন্নয়নের অভিযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে। ’ আগামী এক বছর দেশ পরিচালনার সার্বিক আয়-ব্যয়ের হিসাব রয়েছে এই বাজেটে। এটি আওয়ামী লীগ সরকারের ২৩তম ও বাংলাদেশের ৫২তম বাজেট। প্রস্তাবিত বাজেট ২৬ জুন অনুমোদন হবে। আর ১ জুলাই থেকে নতুন অর্থবছর শুরু হবে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হচ্ছে সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বিশাল এ বাজেটের ঘাটতি দুইলাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে দুইলাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা; যা মোট জিডিপির পাঁচ দশমিক দুই শতাংশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২৩
এইচএমএস/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।