ঢাকা: নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ২০৪০ সালের মধ্যে দেশে শতকরা ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২ জুন) বিকেলে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ তার বাজেট বক্তৃতায় এ কথা জানান।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিদ্যুৎখাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০’ বাতিল করা হয়েছে। এ আইনের আওতায় ইতোপূর্বে সম্পাদিত চুক্তিসমূহ পর্যালোচনার নিমিত্ত একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। রূপপুরে দুই হাজার চারশ মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে।
তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা, ২০০৮ যুগোপযোগী করে নতুন একটি নীতিমালা প্রণয়নের কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের শতকরা ৩০ ভাগ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইন্টিগ্রেটেড পাওয়ার সেক্টর মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে এবং এর আওতায় আগামী ২০২৮ সালের মধ্যে তিন হাজার চারশ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পরিচ্ছন্ন উৎস থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার নিজস্ব উদ্যোগে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এ লক্ষ্যে ২০২৫-২৬ সাল থেকে ২০২৭-২৮ পর্যন্ত সময়ে বাপেক্স কর্তৃক প্রয়োজনীয় জরিপ কাজ সম্পন্ন করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মধ্যমেয়াদে বাপেক্সের নিজস্ব রিগের মাধ্যমে ৬৯ কূপ খনন এবং ৩১ কূপের ওয়ার্কওভার সম্পন্নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, পরিশোধিত তেলের চাহিদা মেটাতে প্রতিবছর তিন মিলিয়ন মেট্রিক টন অশোধিত তেল শোধন ক্ষমতাসম্পন্ন ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড, ইউনিট-২ স্থাপনের প্রকল্প নেওয়ার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে দুপুরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সভায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত সাত লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়।
এই বাজেট চলতি (২০২৪-২৫) অর্থবছরের বাজেটের তুলনায় সাত হাজার কোটি টাকা কম। এবারই প্রথমবারের মতো বিগত অর্থবছরের তুলনায় নতুন বাজেটের আকার কমল।
আরকেআর/এএটি