ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

বাজেট

এই বাজেটকে ‘জনবান্ধব’ বলা যাচ্ছে না: জি এম কাদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫০ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২৩
এই বাজেটকে ‘জনবান্ধব’ বলা যাচ্ছে না: জি এম কাদের

ঢাকা: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের এমপি বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে, নির্বাচনমুখী বাজেট করা হয়েছে। গেল বছরের চেয়ে এবারের বাজেটে এক লাখ কোটি টাকা বেশি ধরা হয়েছে।

এই বাজেট বাস্তব সম্মত মনে করছি না। এই বাজেটকে জনবান্ধব বলা যাচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেলে বাজেট অধিবেশন শেষে জাতীয় সংসদের মেটাল গেটে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে বাজেট প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।

জি এম কাদের বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা চলছে। মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে আছে। এমন বাস্তবতায় যে রাজস্ব আদায়ের টার্গেট ধরা হয়েছে, তা হয়তো আদায় হবে না। বাজেটে প্রাপ্তি দেখানো হয়েছে, অভ্যন্তরীণ ঋণ ও বিদেশি ঋণ। বর্তমান বাস্তবতায় ইচ্ছে করলেই বিদেশি ও অভ্যন্তরীণ ঋণ পাওয়া যাবে বলে মনে হচ্ছে না।  

তিনি বলেন, ডিরেক্ট ট্যাক্সের পাশাপাশি সব কিছুতেই ইনডিরেক্ট ট্যাক্স ধরা হয়েছে। এতে সাধারণ ও মধ্যবিত্তের কষ্ট বাড়বে। জিনিসপত্রের দাম এমনিতেই ঊর্ধ্বমুখী। জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়বে। মানুষের আয় কমেছে কিন্তু জিনিসপত্রের দাম বেড়েই চলবে। এই বাজেটে জনবান্ধব বা কল্যাণমুখী কিছু দেখছি না। নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও গরীব মানুষ যাতে বেঁচে থাকতে পারে তা এই বাজেটে নেই। এই বাজেট জনবান্ধব বলা যাচ্ছে না, এটা জনবান্ধবহীন বাজেট।  

এসময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, এই বাজেট দিয়ে নির্বাচনী বৈতরণি পার হওয়ার চেষ্টা আছে বলে মনে হয় না, তাদের হয়তো অন্য মেকানিজম আছে। এই বাজেটে পরিচালন ব্যয় অনেক বাড়ানো হয়েছে। এই পরিচালন ব্যয়ের মধ্যে সব কিছুই করা সম্ভব। কৃচ্ছ্র সাধনের জন্য পরিচালন ব্যয় কমানো দরকার।  

জি এম কাদের বলেন, আমরা মনে করি, আগে যেটা ছিল, তা-ই বেশি ছিল। যেটা আমাদের বাজেট দিয়ে সার্পোট দেওয়া যেত না। আমাদের উন্নয়ন ব্যয় দেশি ও বিদেশি ঋণ নির্ভর ছিল, এটা এখন আরও বেড়েছে।  

তিনি বলেন, পরিচালন ব্যয় খুব সহজভাবে ব্যয় করা যাবে। যেখানে-সেখানে ব্যয় করা যাবে। পরিচালন ব্যয় দিয়ে নির্বাচনে অ্যাডভান্টেজ নিতে পারবে। উন্নয়ন ব্যয় অনেক কম। উন্নয়ন করে জনগণকে দেখানোর টেন্ডেন্সি অনেক কম। অর্থ দিয়ে নির্বাচন পার করার একটি পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা বলেন, এখন ভোট বাড়া বা কমায় কিছু যায় আসে না। স্বাভাবিকভাবে আওয়ামী লীগের ভোট কমার কথা, কারণ জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়বে, নির্বিঘ্নে বলা যায়। এমনিতেই দেশের মানুষ অতিষ্ঠ, সাধারণ মানুষের রিলিফ পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার কারণে যে শর্ত দেওয়া হচ্ছে, তাতে জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়বে। আমার মনে হয়, এই বাজেটে দ্রব্যমূল্য কমবে না বরং বাড়বে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২৩
এসএমএকে/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।