ঢাকা, বুধবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ০৩ জুলাই ২০২৪, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫

বাজেট

স্মার্ট অর্থনীতির সুফল পৌঁছে দিতে অবকাঠামোগুলোয় জোর দেওয়া হয়েছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১২ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২৪
স্মার্ট অর্থনীতির সুফল পৌঁছে দিতে অবকাঠামোগুলোয় জোর দেওয়া হয়েছে

ঢাকা: প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার ও সর্বোপরি স্মার্ট অর্থনীতির সুফল দেশের সকল নাগরিকের কাছে পৌঁছে দিতে ভৌত, সামাজিক ও প্রযুক্তি অবকাঠামো বিনির্মাণের প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।  

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন শুরু হয়। জাতীয় সংসদের এ অধিবেশনে উপস্থিত আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল হাসান মাহমুদ আলী নিজের প্রথম বাজেট বক্তব্যে বলেন, চলমান বৈশ্বিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট-অভ্যন্তরীণ সামষ্টিক অর্থনীতির অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে রাজস্ব খাতের যুগোপযোগী সংস্কার এবং সেই লক্ষ্যে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন, কর নেট বৃদ্ধি, কর বহির্ভূত রাজস্ব আদায় ও প্রশাসনিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে যাতে পর্যাপ্ত সম্পদের যোগান নিশ্চিত করা যায়। বাজেট ঘাটতি ধারণযোগ্য পর্যায়ে রেখে ঘাটতি নির্বাহে বৈদেশিক উৎসের উপর নির্ভরশীলতা হ্রাস করা হবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে কৃচ্ছ্রসাধন কর্মসূচি সীমিত পরিসরে চালু রাখা হলেও উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ হতে নিম্ন আয়ের মানুষের সুরক্ষা প্রদান কার্যক্রমের পরিধি বাড়ানো হবে।

তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি দারিদ্র্য বিমোচন, কর্মসৃজন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য , কৃষি ও জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলাসহ সরকারের অগ্রাধিকার খাতসমূহে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ এবং ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিক্রমাকে প্রাধিকার দিয়েই এই অর্থবছরের বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে।

স্মার্ট বাংলাদেশের দর্শনকে দর্পণে রূপান্তরের লক্ষ্যে প্রতিটি খাতে আধুনিকায়ন ও প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব উপযোগী ভৌত, সামাজিক ও প্রযুক্তি অবকাঠামো বিনির্মাণের প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে যাতে স্মার্ট সমাজ, স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার এবং সর্বোপরি স্মার্ট অর্থনীতির সুফল দেশের সর্বশেষ প্রান্তে থাকা নাগরিকের কাছেও আমরা পৌঁছে দিতে পারি।

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর উত্থাপিত প্রস্তাবিত বাজেটের আকার সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ প্রতিপাদ্যে এই বাজেট বিদায়ী ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটের তুলনায় ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। টাকার অংকে ৩৫ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বেশি। বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটের আকার সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।

নতুন বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ধরা হয়েছে দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরে ছিল ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। নতুন বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয়েছে দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে দুই লাখ ৮৩ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ লাখ ৪৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরে ছিল পাঁচ লাখ কোটি টাকা।

নতুন বাজেটে জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ।  বিদায়ী অর্থবছরে যা ছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। পরে তা কমিয়ে সাড়ে ৬ শতাংশ করা হয়। বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে আটকে রাখার লক্ষ্য ধরা হয়েছে।

এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৪তম বাজেট। এছাড়া বর্তমান সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের প্রথম বাজেট, টানা ১৬তম এবং আওয়ামী লীগ সরকারের ২১তম বাজেট।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২৪
জিসিজি /এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।