ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

২ লাখ ৯৭ হাজার ১০০ কোটি টাকার বাজেট!

শাহজাহান মোল্লা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৫ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০১৫
২ লাখ ৯৭ হাজার ১০০ কোটি টাকার বাজেট!

ঢাকা: জাতীয় সংসদে নবম বারের মতো বাজেটএপশ করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বাজেট পেশের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এবং বাজেটের আকারের দিক দিয়ে সর্বোচ্চ বাজেটও এটি।

দেশ স্বাধীনের পর এটি ৪৪ তম বাজেট।

জাতীয় সংসদে ১২টি বাজেট দিয়ে প্রথম স্থানে রয়েছেন বিএনপি আমলের সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান। তৃতীয় সর্বোচ্চ বাজেট ৭টি দিয়েছেন এসএএমএস কিবরিয়া।

দেশ স্বাধীনের পর প্রথম বাজেট দেন তাজউদ্দিন আহমেদ। সেবার (১৯৭২-৭৩) অর্থ বছরে প্রথম বাজেটের আকার ছিলো মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকা।   সেখান থেকে কয়েক শ’ গুণ বাড়িয়ে নতুন অর্থ বছরের বাজেট পেশ করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। যা নিজের দেওয়া প্রথম বাজেটের চাইতে কয়েক শ’ গুণ বড় আকারের বাজেট।

সামরিক শাসক এইচএম এরশাদের আমলে অর্থমন্ত্রী হিসেবে আবুল মাল আবদুল মুহিত জাতীয় সংসদে প্রথম বাজেট পেশ করেন। সেই বাজেটের আকার ছিলো (১৯৮২-৮৩) অর্থ বছরের বাজেট ৪ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। আর নতুন অর্থবছরের (২০১৫-১৬)  ২ লাখ ৯৭ হাজার ১০০ কোটি টাকার বাজেট দেবেন তিনি।

যা গত অর্থ বছরে (২০১৪-১৫) ছিলো ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা।   তবে প্রস্তাবিত বাজেটর আকার কিছুটা কমতে বা বাড়তে পারে।

বৃহস্পতিবার (০৪ জুন) বিকেল ৩ টা ৩০ মিনিটে বাজেট অধিবেশন শুরু হবে। সংসদ সচিবালয়ের কার্যসূচী অনুযায়ী অধিবেশনের শুরুতেই অর্থমন্ত্রী ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ঘোষণা করবেন।

অন্য বারের ন্যায় এবারও ডিজিটাল পদ্ধতি অর্থাৎ পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী। অর্থ বিভাগের www.mof.gov.bd ঠিকানা থেকে বাজেটের সব তথ্য যে কেউ পাঠ ও ডাউনলোড করতে পারবেন। এছাড়া www.bangladesh.gov.bd, www.nbr-bd.org এসব ওয়েবসাইটেও বাজেটের তথ্য পাওয়া যাবে।

প্রতিবছরের মতো এবারও বাজেট পেশের পর দিন অর্থাৎ ৫ জুন শুক্রবার বিকেল ৩ টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেট-উত্তর সংবাদ সম্মেলন করবেন অর্থমন্ত্রী। এ সময় অন্য মন্ত্রী ও সচিবেরা উপস্থিত থাকবেন।

অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের জাতীয় বাজেটের আকার দুই লাখ ৯৭ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ঘাটতির পরিমাণ ৮৮ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। নতুন বাজেটে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য পে-স্কেল বাস্তবায়নের ঘোষণা থাকছে। এছাড়া এবার শিশু বাজেটও ঘোষণা করা হবে। আর পদ্মা সেতুর জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে ৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হবে বলে জানা গেছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্র অনুযায়ী, ৪ জুন সংসদে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ। একই দিন সংশোধিত বাজেট ও ২০১৫ সালের অর্থবিল উপস্থাপন করা হবে। প্রস্তাবিত বাজেট আলোচনার পর ৩০ জুন তা পাস হবে।

চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের ওপর আলোচনা হবে ৭ জুন এবং ৮ জুন তা পাস হবে। প্রস্তাবিত (২০১৫-১৬) অর্থবছরের বাজেটের  ওপর সাধারণ আলোচনা শুরু হবে ৯ জুন এবং শেষ হবে ২৮ জুন। অর্থ বিল পাসের মাধ্যমে ১ জুলাই থেকে নতুন বাজেট বাস্তবায়ন শুরু হবে।

প্রস্তাবিত নতুন অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনার জন্য নির্ধারিত করা হয়েছে ৪৫ ঘণ্টা। সরকারি দল, বিরোধী দল ছাড়াও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেবেন। সংসদ সদস্যদের আলোচনা শেষে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ কমতে বা বাড়তে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৫
এসএম/এনএস

** মুহিতের নবম বাজেট, টানা সাতের রেকর্ড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।