ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

বাজেট

পুঁজিবাজারের জন্য কোনো সুখবর নেই বাজেটে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৮ ঘণ্টা, জুন ১, ২০১৭
পুঁজিবাজারের জন্য কোনো সুখবর নেই বাজেটে

ঢাকা: ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য নতুন করে বিশেষ কিছু রাখা হয়নি। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে যা বরাদ্দ রাখা হয়েছিলো তাই বিদ্যমান রয়েছে।

সাড়ে ২৯ লাখ বিনিয়োগকারী এবং বাজারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের প্রত্যাশা ছিলো পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে করমুক্ত লভ্যাংশ আয় ২৫ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকায় উন্নীত করা এবং কোম্পানির করপোরেট কর হারের ব্যবধান কমপক্ষে আরো ১০ শতাংশে বৃদ্ধিসহ বিশেষ প্রণোদনা রাখা হবে। কিন্তু তার কিছু রাখা হয়নি।


 
বৃহস্পতিবার (জুন ১) জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, পুঁজিবাজারের জন্য বাজেটে কোনো প্রণোদনা রাখা হয়নি। তিনি বলেন, স্টার্ট-আপ ও নতুন কোম্পানির মূলধনের চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট রুলস-২০১৫ প্রণয়ন করা হয়েছে।
 
এ ছাড়া লেনদেনে স্বচ্ছতা আনার জন্য আধুনিক সার্ভেল্যান্স সিস্টেমসও ইতোমধ্যে স্থাপিত হয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের পুঁজি গঠনে সহায়তার লক্ষ্যে একটি স্মল ক্যাপ প্লাটফর্ম প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বিএসইসি–কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফার বাই স্মল ক্যাপিটাল কোম্পানিজ রুলস, ২০১৬ গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি নতুন প্রোডাক্ট চালুর লক্ষ্যে এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) রুলস, ২০১৬ প্রণয়ন করা হয়েছে।
 
তিনি আরও বলেন, শেয়ারবাজারের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি কর্ম-পরিকল্পনার অংশ হিসেবে লেনদেন নিস্পত্তির জন্য আলাদা ক্লিয়ারিং অ্যান্ড সেটেলমেন্ট কোম্পানি প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্টক এক্সচেঞ্জের কারিগরি এবং পেশাগত দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইনের আওতায় কৌশলগত বিনিয়োগকারী সংগ্রহের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
 
বাজেটে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষের (ডিএসই ও সিএসই) রাখার প্রস্তাবগুলো মধ্যে ছিলো- আগামী তিন অর্থবছরের জন্য উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের শতভাগ কর মওকুফ সুবিধা, উভয় এক্সচেঞ্জের ৬০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি থেকে এককালীন মূলধনী আয়ের উপর কর অবকাশ সুবিধা দেওয়া।

নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য কমপক্ষে ৩ বছর কর অবকাশ সুবিধা, ৫৩ বিবিবি ধারায় করহার শতকরা ০.০৫ থেকে কমিয়ে ০.০১৫ করা, করমুক্ত লভ্যাংশ আয় ২৫হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকায় উন্নীত করা।
 
এছাড়াও সরকারি কোম্পানি এবং আরও অধিক সংখ্যক ভালো কোম্পানির শেয়ার পুঁজিবাজারে নিয়ে আসার উদ্যোগ, ট্রেডিংয়ের সময় বৃদ্ধিকরণ এবং স্বল্প মূলধনী বোর্ড চালুকরণ সুবিধা দেওয়া প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৭
এমএফআই/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।