ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

বাজেট

‘পাউরুটির দাম কমেছে, চায়ের দাম তো ঠিকই বেড়েছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৫ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০১৮
‘পাউরুটির দাম কমেছে, চায়ের দাম তো ঠিকই বেড়েছে’ বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।

ঢাকা: টানা দশমবারের মতো বৃহস্পতিবার (৭ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। এতে সভাপতিত্ব করেছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

এবারের ৪ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকার বড় বাজেট উচ্চবিত্তদের জন্য বেশ সুযোগ-সুবিধা বয়ে আনলেও গরিব-মধ্যবিত্তদের জন্য তা সহনীয় নয় বলে মন্তব্য করেছেন সাধারণ জনগণ।

শুক্রবার (৮  জুন) বাজেটের প্রতিক্রিয়া নিয়ে কথা হয় রাজধানীর ফার্মগেট, কারওয়ানবাজার এলাকার মানুষের সঙ্গে।

মধ্যবয়সী রিকশাচালক আবু সালমানের মতে, ‘পাউরুটির দাম কমিয়ে আর কি করলো, চা-সিগারেটের দাম তো ঠিকই বাড়িয়েছে। তয় যার খাওনের, সে দাম বাড়াইলে- কমলেও খাইবো। ’

ফার্মগেটের বিক্রেতা আব্দুল আলিম বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও বাজেটে সেই একই ধারাবাহিকতা। শুধু বেড়েই চলেছে। অথচ বাস্তবায়ন তো হবে না আদৌ, নির্বাচনের আগে সংস্কারের সম্ভাবনাও দেখি না।

বাজেটের কথা উঠতেই একই এলাকার বাসিন্দা হানিফ রহমান তুলে ধরলেন রোহিঙ্গদের কথা। বেশ ক্ষুব্ধ হয়েই তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী বাজেটে রোহিঙ্গাদের কথা বললেন। কিন্তু তাদের উন্নয়ন তো আমাদের করের টাকাতেই হবে। অথচ এখাতে আমাদের ব্যয় কেমন হবে, তা তিনি জানতেই দিলেন না করদাতাদের।

আনিসুর রহমান বললেন, পাঠাও ও উবারের মতো অ্যাপভিত্তিক পরিবহনে কর বসানোটা মেনে নেওয়া যায় না। ঢাকার রাস্তাঘাটের যা অবস্থা, তাতে মানুষ সৌখিনতার তুলনায় সময় বাঁচাতে ওই সেবা নেয়।

সব কথাকে ছাড়িয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া  নাইমুর রহমান বললেন অন্য কথা। তার মতে, 'বাজেট বড় করে তো কোনো লাভ দেখি না? আর এতোটুকু দেশে এতোবড় বাজেটের প্রয়োজনীয়তাও দেখি না। আমাদের পরিকল্পনার অভাব। সরকারের সব মন্ত্রণালয়গুলো যদি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা মাফিক ও একটু গুছিয়ে কাজ করে, তাহলে বাজেট এতো বড়ও হয় না, আর আমাদের মতো সাধারণ মানুষের উপর করের বোঝাও বাড়ে না। '

কারওয়ানবাজারে কথা হয় শপিং কমপ্লেক্স থেকে ফেরা জাহিদ আরমানের সঙ্গে। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ওই ভদ্রলোক বাজেট প্রসঙ্গে বাংলানিউজকে বলেন, পোশাকের দাম তো এমনিতেই বেশি। এখাতে নতুন করে শুল্কারোপের কি হলো বুঝি না? বাংলাদেশ বিশ্বে পোশাক রফতানিতে প্রথম সারিতে থাকলেও পোশাকের দোকানে গিয়ে মনে হয় না যে এদেশের পোশাক রফতানি করে। মূল্য দেখে যা মনে হয়, তা হলো এগুলো রফতানির ফসল। এর উপর আবার দাম বৃদ্ধি একটা অস্বস্তিকর ব্যাপার।

কারওয়ানবাজরের আড়তদার রুবেল আহমেদ বলেন, নিত্যপণ্যের দাম বাজেটের ফলে এখনও বাড়েনি। তবে কিছু পণ্যের দাম বাড়তে পারে। আর এবারের বাজেট তো অর্থমন্ত্রী করছেন তার বন্ধু-বান্ধবীদের জন্য, যারা তার বা তার থেকেও উচ্চবিত্ত। মধ্যবিত্তদের তো গলা কাটা অবস্থা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৪ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০১৮
এইচএমএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।