ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বাজেট

তামাক খাত থেকে ১১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০২০
তামাক খাত থেকে ১১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

ঢাকা: তামাক কর ও মূল্য বৃদ্ধি সংক্রান্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বাজেট প্রস্তাব গ্রহণ করা হলে সরকার তামাক খাত থেকে ১১ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত রাজস্ব আয় করতে পারতো। সেটি না করায় বড় ধরণের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (১১ জুন) তাৎক্ষণিক বাজেট প্রতিক্রিয়া ২০২০-২১ এ কথা বলেন তামাকবিরোধী সংগঠন প্রজ্ঞা ও আত্মা।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এটি বাস্তবায়ন হলে দীর্ঘমেয়াদে প্রায় ৬ লক্ষ মানুষের অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হতো।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ তামাককে করোনা সংক্রমণ সহায়ক হিসেবে চিহ্নিত করে এর ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার জন্য জোর তাগিদ দিয়ে আসছে। অথচ প্রস্তাবিত বাজেটে এসবের কোনো প্রতিফলন নেই। সিগারেটের ৪টি মূল্যস্তর বহাল রাখায় কমদামি সিগারেট বেছে নেয়ার সুযোগ অব্যাহত থাকছে এবং তরুণরা ধূমপান শুরু করতে উৎসাহিত হবে। ফলে সিগারেটের ব্যবহার না কমে বরং বৃদ্ধি পাবে। বাজেট প্রস্তাবে নিম্নস্তরে ১০ শলাকাসিগারেটের দাম মাত্র ২ টাকা বাড়িয়ে ৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, অর্থাৎ প্রতি শলাকায় দাম বৃদ্ধি পাবেমাত্র ২০ পয়সা বা ৫.৪ শতাংশ। অথচ একইসময়ে মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে ১১.৬ শতাংশ। সিগারেট বাজারের প্রায় ৭২ শতাংশই নিম্নস্তরের সিগারেটের দখলে। এই স্তরে সম্পূরক শুল্ক ধার্য করা হয়েছে ৫৭ শতাংশ, যা গতবছর ছিল ৫৫ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেট কার্যকর হলে এইস্তরের সিগারেটের প্রকৃতমূল্য হ্রাস পাবে এবং ব্যবহার বাড়বে। বিড়ির শলাকা প্রতি মাত্র ১৬ পয়সা দামবৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে, এতে বিড়ির ব্যবহার কমবে না বরং দরিদ্র মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বেড়ে যাবে। অন্যদিকে, ১০ গ্রাম জর্দার দাম ১০ টাকা বাড়িয়ে ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা সন্তোষজনক। তবে ১০ গ্রাম গুলের দাম বাড়ানো হয়েছে মাত্র ৫ টাকা। এর ফলে নারী এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠির মধ্যে এসব তামাক পণ্যের ব্যবহার খুব একটা কমবে না। সার্বিকভাবে অতিরক্তি রাজস্ব আহরণ, অকাল মৃত্যুরোধ এবং করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাসে প্রস্তাবিত তামাক কর ও মূল্য পদক্ষেপ কোনো ভূমিকা রাখবে না, যা অত্যন্ত হতাশাজনক বলে জানিয়েছে সংগঠনগুলো।

তামাকবিরোধীদের দাবি অনুযায়ী সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি এবং সম্পূরক শুল্কের একটি অংশ সুনির্দিষ্ট কর আকারে আরোপ না করায় সরকার অতিরিক্ত রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হবে এবং তামাক কোম্পানিগুলোর আয় বৃদ্ধি পাবে ফলে তারা মৃত্যু বিপণনে আরো উৎসাহিত হবে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘন্টা, জুন ১১, ২০২০
এসএমএকে/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।