মৌলভীবাজার: চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে কনকনে শীতের আমেজ। সেই সঙ্গে বইছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) শ্রীমঙ্গল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিস সূত্র এ তথ্য জানায়।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) শ্রীমঙ্গলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়া সহকারী মুজিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার সকাল ৬টায় এবং সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
তিনি আরও বলেন, শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পাশাপাশি এখনে চলছে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। বিগত কিছুদিন এখানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছিল। শীতের তীব্রতা কিছুটা বাড়াতে পারে। আশা করা যায় এটিই শীত মৌসুমের শেষ দিকের তীব্রতা।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়া সহকারী আবুল আলিম বাংলানিউজকে বলেন, শ্রীমঙ্গলে রেকর্ড করা ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাই আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। আর সিলেটের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হলো ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শ্রীমঙ্গলের পর শুক্রবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ‘দ্বিতীয় স্থানে’ রয়েছে তেতুলিয়া, সেখানের তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিয়ে ‘তৃতীয় স্থানে’ রয়েছে ঈশ্বরদী।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ১৯৬৬ সালের ২৯ জানুয়ারি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৯৫ সালের ৪ জানুয়ারি, ২০০৭ সালের ১৭ জানুয়ারি এবং ২০১৩ সালের ১০ জানুয়ারি শ্রীমঙ্গল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২৩
বিবিবি/জেডএ