ঢাকা: চলতি বছরের মার্চে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন সেবা নগদ একমাসে সর্বোচ্চ লেনদেনের রেকর্ড করেছে। শেষ হওয়া এই মাসে প্রতিষ্ঠানটি ৩৪ হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন করেছে।
যাত্রা শুরুর ছয় বছরের মধ্যে বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ মোবাইল আর্থিক সেবা হিসেবে বাজারে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে নগদ।
এ সময়ে প্রতিষ্ঠানটির গ্রাহক সংখ্যা ও লেনদেন উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ মাসে প্রতিষ্ঠানটি নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ লেনদেনের অঙ্ক পার করল।
এর আগে ২০২৪ সালের জুন মাসে প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকার লেনদেন করে প্রতিষ্ঠানটি।
রেকর্ড গড়া এই লেনদেনের অধিকাংশই ছিল ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, সেন্ড মানি, পেমেন্ট এবং মোবাইল রিচার্জ। মার্চে নগদ পেমেন্টে চলা ‘উৎসবের খুশি নগদে বেশি’ ক্যাম্পেইনে প্রতি ঘণ্টায় উপহার জেতার সুযোগ দিয়েছিল নগদ। এই ক্যাম্পেইনও বাজারে বেশ সাড়া ফেলে। আর এসব লেনদেনের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় লেনদেনের নতুন রেকর্ড গড়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
নতুন এই মাইলফলক অর্জন উপলক্ষে সব গ্রাহক, কর্মী, উদ্যোক্তাসহ সম্পৃক্ত সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নগদের প্রশাসক মো. মোতাছিম বিল্লাহ।
তিনি বলেন, সাফল্য কখনোই ঘটনাচক্রে আসে না। এটা সকলের যৌথ পরিশ্রম ও প্রচেষ্টার ফসল। তাছাড়া সবাই যখন একই লক্ষ্য ও একই মূলবোধ ধারণ করে কাজ করে তখন শ্রেষ্ঠত্বের জন্য লড়াই করাটাও সহজ হয়।
মো. মোতাছিম বিল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন প্রতিষ্ঠান হিসেবে বর্তমানে নগদ আরও উন্নত সেবার মাধ্যমে গ্রাহকের অর্থের অধিকতর নিশ্চয়তা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে নতুন নতুন গ্রাহক নগদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন এবং তারাও স্বাচ্ছন্দ্যে আগের চেয়ে বেশি লেনদেন করছেন।
সর্বোচ্চ লেনদেনের এই মাসে একদিনে সর্বোচ্চ লেনদেন হয় ২০ মার্চ। এদিন নগদের গ্রাহকেরা দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন করেন।
এর আগে চলতি বছরটিও চমক দিয়ে শুরু করেছিল নগদ। ৯ জানুয়ারি একদিনে সর্বোচ্চ দুই হাজার কোটি টাকা লেনদেনের ল্যান্ডমার্ক অতিক্রম করে প্রতিষ্ঠানটি। ওইদিন নগদে লেনদেন হয়েছিল প্রায় ২ হাজার ১শ কোটি টাকা। বাংলাদেশের সামগ্রিক ডিজিটাল লেনদেন নতুন উচ্চতায় উঠে যাওয়ায় অনন্য ভূমিকা রাখছে নগদ।
বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল সেবা হিসেবে যাত্রা শুরু করার পর থেকে একের পর এক উদ্ভাবন ও গ্রাহকবান্ধব সেবার কারণে নগদের গ্রাহক সংখ্যা দ্রুততার সঙ্গে বাড়তে থাকে। এখনও নগদের অ্যাপের মাধ্যমে প্রতিদিন এই সেবাটিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গ্রাহক যুক্ত হচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৭, ২০২৫
এএটি