ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

আদালত

অরফানেজ মামলায় আদালত পরিবর্তন চেয়ে হাইকোর্টে খালেদা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১৭
অরফানেজ মামলায় আদালত পরিবর্তন চেয়ে হাইকোর্টে খালেদা

ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালত পরিবর্তন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আবেদনে রুল জারির আরজি জানিয়ে মামলার কার্যক্রমের ওপরও স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে।

বুধবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) এ আবেদন উপস্থাপনের পর বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করেন।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আবেদনটি উপস্থাপন করেন আইনজীবী মাহবুবউদ্দিন খোকন।

সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার  রাগিব রউফ চৌধুরী ও জাকির হোসেন ভূঁইয়া।

পরে মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ওই মামলা যে আদালতে চলছে, সে আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে একটি আবেদন করা হয়। কিন্তু গত ০২ ফেব্রুয়ারি আবেদনটি খারিজ করেন বিচারিক আদালত। এরপর আদালত পরিবর্তন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন খালেদা জিয়া।

রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালতে জিয়া অরফানেজ ছাড়াও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলছে।

২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।

এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ আসামি মোট ছয়জন। অন্য চার আসামি হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ৩২ জন সাক্ষী। জামিনে থাকা দুই আসামি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদ আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন।

ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।