ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আদালত

তারেক সাঈদের আরও একটি আপিল গ্রহণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৭
তারেক সাঈদের আরও একটি আপিল গ্রহণ

ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে র‌্যাব-১১’র চাকরিচ্যুত সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল (অব.) তারেক সাঈদ মুহাম্মদের আরও একটি আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট।  

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আপিলটি গ্রহণ করেন।

এ নিয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৭ আসামির আপিল ও কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে করা জেল আপিলসহ মোট ৩১টি আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করলেন হাইকোর্ট।

গত বুধবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ বাকি আপিলগুলো গ্রহণ করেছিলেন।

একইসঙ্গে আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিচারিক আদালতের রায়ে করা তাদের জরিমানার আদেশ স্থগিত করা হয়েছে।


আপিলকারী অন্য ১৬ জন হলেন- প্রধান আসামি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন, র‌্যাব-১১’র চাকরিচ্যুত লে. কমান্ডার (অব.) মাসুদ রানা, মেজর (অব.) আরিফ হোসেন, হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ মো. আরিফ হোসেন, ল্যান্সনায়েক হীরা মিয়া,  ল্যান্সনায়েক বেলাল হোসেন, সিপাহি আবু তৈয়ব, কনস্টেবল শিহাব উদ্দিন, এসআই পূর্ণেন্দু বালা ও সৈনিক আসাদুজ্জামান নূর এবং নূর হোসেনের সহযোগী মোর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দিপু, আবুল বাশার ও রহম আলী।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল।

তিনি জানান, কয়েকজন আসামির একাধিক আপিল ও জেল আপিল ছিল। সবগুলো ডেথ রেফারেন্স, আপিল ও জেল আপিলের শুনানি একসঙ্গে হবে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট।

গত ১৬ জানুয়ারি চাঞ্চল্যকর সাত খুনের মামলার রায়ে নূর হোসেন ও র্যাবের বরখাস্তকৃত তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালত। দু’টি হত্যা মামলায় একসঙ্গে দেওয়া রায়ে ৩৫ জন আসামির মধ্যে বাকি ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সাজাপ্রাপ্ত ৩৫ আসামির মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৯ জনসহ ১২ জন পলাতক ছিলেন। তাদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত র‌্যাবের চাকরিচ্যুত সার্জেন্ট এনামুল কবিরকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি মাগুরা থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। অন্যদিকে চাকরিচ্যুত সৈনিক আবদুল আলীম রোববার আদালতে আত্মসমর্পণের পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তদের রাখা হয়েছে  নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার এবং গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ ও পার্ট-২ এ। সেখান থেকে খালাস চেয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল ও কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জেল আপিল করেন তাদের আইনজীবীরা।


গত ২২ জানুয়ারি এ মামলার ১৬৩ পাতার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। ওইদিনই পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি, জুডিশিয়াল রেকর্ড, সিডিসহ বিভিন্ন নথিপত্র (ডেথ রেফারেন্স) হাইকোর্টে পৌঁছে দেন দেন বিচারিক আদালতের কর্মকর্তারা।

গত ২৯ জানুয়ারি সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার কাছে উপস্থাপন করা হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেপারবুক তৈরির নির্দেশ দেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৭
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।