গত ১৭ জুলাই শুনানি শেষে রায়ের দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।
গত ১৬ মে থেকে মোট ১৫ দিনের মতো এ মামলায় আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি হয়েছে হাইকোর্টে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নজিবুর রহমান। আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী, এস এম শাহজাহান, লুতফর রহমান মন্ডল, সৈয়দ আলী মোকাররম, সৈয়দ শাহ আলম, মো. আব্দুস সালাম, মো. ইসা, সৈয়দ মাহমুদুল আহসান।
পলাতক আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন মোমতাজ বেগম।
পরে নজিবুর রহমান বলেন, আটটি আপিল ও সাতটি জেল আপিল করা হয়েছিলো। এসব আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর ১৫ দিনের মতো শুনানি হয়। রাষ্ট্রপক্ষে আসামিদের দণ্ড বহাল রাখার আরজি জানানো হয়েছে।
২০১২ সালের ০৯ ডিসেম্বর বিএনপি-জামায়াতের অবরোধ কর্মসূচির মধ্যে বাহাদুর শাহ পার্কের কাছে বিশ্বজিৎকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর এ হত্যা মামলার রায়ে ২১ আসামির মধ্যে আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ বি এম নিজামুল হক।
বিচারিক আদালতের ওই রায়ের এক সপ্তাহের মধ্যে এ মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছে। এরপর ১৫টি আপিল করেন দণ্ডপ্রাপ্তরা।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি পেপারবুক প্রস্তুত হয়ে হাইকোর্টে আসে।
পেপারবুক উপস্থাপনের পর গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা আপিল অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানির জন্য বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।
এ মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রফিকুল ইসলাম শাকিল, রাজন তালুকদার (পলাতক), মাহফুজুর রহমান নাহিদ, ইমদাদুল হক এমদাদ, জিএম রাশেদুজ্জামান শাওন, মীর মোহাম্মদ নূরে আলম লিমন (পলাতক), সাইফুল ইসলাম সাইফুল ও কাইয়ূম মিয়া টিপু।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ১৩ আসামি হলেন- খন্দকার মো. ইউনুস আলী ইউনুস (পলাতক), তারিক বিন জহুর তমাল (পলাতক), গোলাম মোস্তফা মোস্তফা, মো. আলাউদ্দিন (পলাতক), মো. ওবায়দুল কাদের তাহসিন (পলাতক), ইমরান হোসেন ইমরান (পলাতক), আজিজুর রহমান আজিজ (পলাতক), আল আমিন শেখ (পলাতক), রফিকুল ইসলাম (পলাতক), এএইচএম কিবরিয়া, মনিরুল হক পাভেল (পলাতক), মোহম্মদ কামরুল হাসান (পলাতক) ও মোশাররফ হোসেন মোশারফ (পলাতক)।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ০৬, ২০১৭
ইএস/আরআই/এএসআর