সোমবার (২ অক্টোবর) বিকেলে দিনাজপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-২ এর বিচারক লুৎফর রহমান অভিযোগটি খারিজ করে দেন।
এ ব্যাপারে আদালতের সরকারী এপিপি মিন্টু পাল বাংলানিউজকে বলেন, গত ২৭ সেপ্টেম্বর দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপালের বিরুদ্ধে বীরগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সদস্য অজিবুল ইসলাম দিনাজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত-২ এ পৃথক দু’টি অভিযোগ এনে আবেদন করেন।
২৮ সেপ্টেম্বর আবেদন দু’টির ওপর অভিযোগকারী অজিবুল ইসলামের ২০০ ধারায় জবানবন্দি নেওয়া হয়। এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর নামে করা কলেজের নাম পরিবর্তনের অভিযোগটি (অভিযোগ নং-২৪৪/১৭, ২০০১ সালের ৪ ধারা) স্বেচ্ছায় প্রত্যাহারের আবেদন করেন। পরে বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. লুৎফর রহমান ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪৮ ধারায় অভিযোগটি খারিজ করে দেন।
তিনি বলেন, ২০০১ সালের এ আইনটি ২০০২ সালে বাতিল করা হয়েছে। ফলে এর আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। একই বাদী বঙ্গবন্ধুর মানহানি ঘটানোর অভিযোগ তুলে আরও একটি অভিযোগ এনে আবেদন করেন (যার নং-সিআর ২৪৫/১৭ ধারা ৫০০/৫০১)।
২৮ সেপ্টেম্বর দু’পক্ষের শুনানির পর বিচারক এই মামলাটির আদেশের জন্য ২ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। সোমবার বাদীর জবাবন্দি পর্যালোচনা করে বিচারক মামলাটি ফৌজদারি কার্যবিধির ২০৩ ধারায় অভিযোগটি খারিজ করে দেন।
এ বিষয়ে দিনাজপুর-১ আসনের এমপি মনোরঞ্জন শীল গোপাল বাংলানিউজকে বলেন, পলাশবাড়ী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়কে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নামকরণের বিষয়ে আমি ডিও লেটার দেই। বঙ্গবন্ধু কল্যাণ ট্রাস্টের অনুমতি না পাওয়ায় কলেজের ম্যানেজিং কমিটি পরে অন্য সিদ্ধান্ত নেয়।
তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছিলো তা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। বাদী কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এ ধরণের মিথ্যা অভিযোগ আদালতে উত্থাপন করেছিলো।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৭
জিপি