বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এ আবেদনের শুনানি তিন সপ্তাহের জন্যে মুলতবি (স্ট্যান্ড ওভার) করে এই আদেশ দেন।
আদালতে নাইকোর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ।
এর আগে এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২৪ আগস্ট বাপেক্সের সঙ্গে নাইকোর করা সব চুক্তি অবৈধ বলে ঘোষণা দেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে দুই চুক্তির অধীনে যেসব সম্পত্তি আছে, তা জব্দের পাশাপাশি নাইকো বাংলাদেশের সম্পত্তি ও বক্ল-৯ এর সম্পত্তিও জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়।
ওই রায়ে আরও উল্লেখ করা হয়, সিলেটের ছাতকে গ্যাস কুপের বিস্ফোরণে ক্ষতিপূরণ না দেওয়া পর্যন্ত নাইকোকে কোনো ধরনের পেমেন্ট (মূল্য পরিশোধ) করা যাবে না।
নাইকো সংক্রান্ত ইন্টারন্যাশনাল আর্বিট্রেশন আদালতে লড়া বাপেক্স ও পেট্রোবাংলার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার মঈন গনি।
বাংলানিউজকে তিনি জানান, নাইকোর সঙ্গে করা দু’টি চুক্তি চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থে ২০১৬ সালে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর এম শামসুল আলম একটি রিট আবেদন করেন। ২০০৩ ও ২০০৬ সালে নাইকোর সঙ্গে বাপেক্স ও পেট্রোবাংলার চুক্তি সঠিকভাবে হয়নি। দুর্নীতির মাধ্যমে হয়েছে।
‘এছাড়া ২০০৫ সালে ছাতকে যে বিস্ফোরণ ঘটেছে এর ক্ষতিপূরণ হিসেবে বাংলাদেশে থাকা নাইকোর সব সম্পত্তি জব্দের জন্যও আবেদন করা হয়। এরপর আদালত ২০১৬ সালের ৯ মে রুল জারি করেন। ’
ওই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ২৪ আগস্ট এই দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে করা সব চুক্তি অবৈধ বলে রায় দেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০১৭
ইএস/এমএ/