ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আদালত

আইনি পরামর্শ করতে বগুড়ায় লতিফ সিদ্দিকী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৭
আইনি পরামর্শ করতে বগুড়ায় লতিফ সিদ্দিকী সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী

বগুড়া: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলার খোঁজখবর ও আইনি পরামর্শ করতে বগুড়ায় এসেছিলেন সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তিনি আদালত প্রাঙ্গণের পাশে অবস্থিত গহর আলী ভবনের দ্বিতীয় তলায় সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হেলালুর রহমানের চেম্বারে যান।

সেখানে লতিফ সিদ্দিকী কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবীর সঙ্গে দুদকের দায়ের করা মামলা সম্পর্কে আইনি পরামর্শ নেন।

পাশাপাশি মামলাটি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় খোঁজখবরও নেন তিনি।

বগুড়া বার সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রেজাউল করিম মন্টু বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী আমার চেম্বারেও এসেছিলেন। তবে ওই সময় আমি আদালতে ছিলাম। পরে সাবেক পিপি হেলালুর রহমানের চেম্বারে তার সঙ্গে মামলার বিষয়ে নানা কথাবার্তা হয়। সবমিলে তিনি তাদের সঙ্গে আধা ঘণ্টার মতো সময় কাটান। এ সময় বেশ কয়েকজন সিনিয়র আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে গত ১৭ অক্টোবর রাতে দুদকের বগুড়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে আদমদীঘি থানায় একটি দুর্নীতি মামলা দায়র করেন। পাটকলের প্রায় আড়াই একর জমি দরপত্র ছাড়াই বিক্রির মাধ্যমে সরকারের প্রায় ৪০ লাখ ৭০ হাজার টাকা আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীসহ দু’জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলার অপর আসামি হলেন- ওই জমির ক্রেতা বগুড়া শহরের কাটনারপাড়া এলাকার মৃত মৃত হারুন-অর-রশিদের স্ত্রী জাহানারা রশিদ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ জুট করপোরেশনের সুরুজ মল আগরওয়ালায় (বিলুপ্ত) জাহানারা রশিদ নামে এক নারী ২০১০ সালের ১৩ মে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় থেকে তিন বছরের জন্য প্রতিবছর এক লাখ ২০ হাজার টাকায় লিজ নেয়। জায়গার পরিমাণ ২ একর ৩৮ শতাংশ। কিন্তু তাকে এক বছর ভাড়া প্রদানের নির্দেশ দিলেও তিনি ভাড়া না দিয়ে জমিটি ক্রয়ের জন্য পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ে ২০১১ সালে ২৩ নভেম্বর আবেদন করেন।

সম্পত্তি স্থায়ীভাবে বরাদ্দ দেওয়ার জন্য উম্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করার নিয়ম থাকলেও মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী তার পরিচিতজন হওয়ায় মন্ত্রীর একক সিদ্ধান্তে ৬৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭শ’ ৯৫ টাকায় সম্পত্তি মাত্র ২৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭শ’ ৭৪ টাকা মূল্যে বিক্রি করেন। এতে সরকারের ৪০ লাখ ৬৯ হাজার ২১ টাকা আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।

লতিফ সিদ্দিকী ও আসামি জাহনারা রশিদ যোগসাজশে ব্যক্তি স্বার্থে আর্থিক লাভবান হওয়ার জন্য ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের ২ নম্বর দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধরায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ প্রমাণ হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৭
এমবিএইচ/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।