ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আদালত

স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর ৭ বছরের কারাদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২, ২০১৮
স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর ৭ বছরের কারাদণ্ড

সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার দায়ে স্বামী মিঠুন দাশের (৩৬) সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) দুপুরে সাতক্ষীরা জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত মিঠুন আশাশুনি উপজেলার শবদলপুর গ্রামের সুভাষ দাশের ছেলে।

 

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৯ সালে খুলনার বাজুয়া গ্রামের কানাই দাশের মেয়ে মেঘনা দাশকে বিয়ে করেন মিঠুন দাশ। বিয়ের পর মিঠুন ও তার পরিবারের সদস্যরা ওই গৃহবধূকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। এরই মধ্যে তাদের সংসারে একটি মেয়ে জন্ম নেয়। ২০১৩ সালের ১৬ মে রাতে ওই গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর শ্বশুর বাড়ির লোকজন আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচারণা চালায়।

ওই দিন মেঘনার বাবার অভিযোগের প্রেক্ষিতে আশাশুনি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনোজ কুমার তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠান এবং নিহতের স্বামী মিঠুনকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।

পরবর্তীতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়ে ২০১৩ সালের ১৯ জুন নিহতের মামা প্রশান্ত সরদার বাদী হয়ে মিঠুন দাশসহ পাঁচ জনের নামে মামলা করেন। ওইদিনই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিঠুনকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে ২৬ জুলাই মিঠুন আদালতে মেঘনাকে ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে স্বীকারোক্তি দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির উপ-পরিদর্শক (এসআই) লুৎফর রহমান ২০১৫ সালে ৩০ জানুয়ারি আদালতে মিঠুন দাশের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এ মামলায় ১১জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও নথি পর্যালোচনা করে আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।  

তবে আসামির বয়স কম ও পাঁচ বছরের একটি সন্তান থাকায় সাজা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও বিচারক আদাশে উল্লেখ রয়েছেন।

সাতক্ষীরা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ওসমান গণি বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, রায় ঘোষণার সময় আসামি মিঠুন দাশ আদালতে উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৮
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।