সোমবার (২৮ জানুয়ারি) বান্দরবানের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হ্লা মং আসামির উপস্থিতিতে এ দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত অংথুই প্রু মারমা শহরের মধ্যম পাড়ার মৃত চিংশৈউ মারমার ছেলে এবং ঘটনার সময় ওই স্কুলের দপ্তরি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মামলার ঘটনায় জানা যায়, স্কুল দপ্তরি অংথুই মারমা ছাত্র-ছাত্রীদের শারীরিক শিক্ষার প্রশিক্ষণ দিত। সে সুযোগে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিভিন্ন প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির (৮) ও চতুর্থ শ্রেণির (১০) দুই ছাত্রীকে তার রুমে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে অভিভাবকরা বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় ২০১৬ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর আসামি অংথুই মারমাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীর মা বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আমরা ন্যায় বিচার পেয়ে খুশি ও আনন্দিত। ভবিষ্যতে কেউ যেন এ ধরনের অপরাধ করতে না পারে সে জন্য অপরাধীর উপযুক্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আমাদের কাম্য ছিল।
লিগ্যাল এইড প্যানেল আইনজীবী কৌশিক দত্ত ও মেমাচিং চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, বান্দরবানের অত্যন্ত দুর্গম রোয়াংছড়ির জামছড়ি থেকে তারা আমাদের কাছে এসে আইনি সহযোগিতা চেয়েছে। হতদরিদ্র পরিবারকে আমরা আইনি সহযোগিতা দিতে পেরে অত্যন্ত খুশি ও আনন্দিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৯
জিপি