বৃহস্পতিবার (০৭ নভেম্বর) দুপুরের দিকে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। এসময় আদালতে আসামি উপস্থিতি ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত লালন ওই উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের মৃত মকবুল গাজীর ছেলে। তিনি পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব কলহের জের ধরে ২০১৭ সালের ১৪ মার্চ দুপুরের দিকে মিরপুর খন্দরবাড়িয়া পৌর পশুহাটের পানবাজারে ভায়রা চেনি মোল্লার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় আসামি লালন গাজীর। একপর্যায়ে ভায়রাকে হাতুরি দিয়ে মাথায় ও ঘাড়ে আঘাত করেন লালন। গুরুতর আহতাবস্থায় স্থানীয়রা চেনি মোল্লাকে উদ্ধার করে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই মিরাজুল ইসলাম মেনি মোল্লা বাদী হয়ে মিরপুর থানায় লালন গাজীকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে একই বছরের ৩১ আগস্ট লালনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করে পুলিশ।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী বাংলানিউজকে জানান, ভায়রাকে হত্যার দায়ে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমাণিত হওয়ায় মামলার একমাত্র আসামি লালনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০১৯
এসআরএস