পাওয়ার হিটিং কোচ হিসেবেই খ্যাতি জুলিয়ান উডের। গতবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএলে) সিলেট সানরাইজার্সে এই দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
আগেরবার জুলিয়ান উডকে নিয়ে আলোচনা হয়েছিল বেশ। কথা উঠেছিল তাকে জাতীয় দলের দায়িত্ব দেওয়া নিয়েও। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে এসে উড বলেছেন, বাংলাদেশের হেড কোচ হওয়ার আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাননি।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপের আগে কথা হচ্ছিল। আমি পাকিস্তানে পিসিবির হয়ে কাজ করছিলাম। তখন কথাবার্তা হচ্ছিল, আমার সঙ্গে না যদিও, তবে লোকজনের সঙ্গে বলছিল আমাকে কাজে লাগানোর ব্যাপারে। যদিও পরে কিছুই হয়নি। এটা এমন একটা ব্যাপার গত এক বছর ধরে আলাপ হয়েছে কয়েকবার। কিন্তু কিছুই হয়নি। আমি এখানে আছি, অ্যাভেইলেবলও। সম্প্রতি কোনো কথা হয়নি। ’
গত বিপিএলের বাংলাদেশে পাওয়া ‘হাইপ’ নিয়ে উড বলেছেন, ‘এটা দারুণ। আমি আইপিএলেও কাজ করেছি। পাওয়ার হিটিং কোচ হিসেবে আমার পরিচিতি আছে, যেটা দারুণ। এখন এটা পাওয়ার গেম। কিন্তু একই সঙ্গে আমি ব্যাটিং কোচও, পাওয়ার হিটিংয়ে স্পেশালাইজড আমি। গত বছর মানুষ দারুণ ছিল আমার জন্য। এরপর আইপিএলে কাজ করেছি, অনেক জায়গাও। এটা ভালো। ’
বিপিএলে এবার আফিফ হোসেন, মৃত্যুঞ্জয়ের মতো তরুণদের পাচ্ছেন উড। তাদের সঙ্গে কী কাজ হচ্ছে? তিনি বলছেন, নিজের খেলা বুঝতে পারাটাই সবচেয়ে বেশি জরুরি।
চট্টগ্রামের কোচ বলেন, ‘গত বছর সিলেটে বিজয়ের সঙ্গে অনেক কাজ করেছিলাম। আফিফের দিকে দেখেন, তারা বড় না (শরীরের দিক থেকে)। তারা রিদম ও টাইমিংয়ের ওপর নির্ভর করে। তারা বল জোরে মারতে পারে, কিন্তু মুভমেন্টে তাদের রিদম ও টাইমিং দরকার হয়। বড় ক্রিকেটাররা মাসল ব্যবহার করে। তারা পারবে না, যদি করতে যায় কাজ হবে না। ’
‘এটা আসলে বুঝতে পারার ব্যাপার কীভাবে তাদের শরীর কাজ করে বল মারার সময়। যখন এটা হবে তাদের, আমি কিছু ট্রেনিং ও ড্রিলও করাচ্ছি। কিন্তু এটা শুধুই অনুশীলনের একটা ধরন। কিন্তু বুঝতে হবে কীভাবে তাদের শরীর কাজ করে বল মারার সময়। ’
বাংলাদেশ সময় : ১৪১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২৩
এমএইচবি/এএইচএস