অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকায় রয়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। তিন ম্যাচ জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে উঠেছে সুপার সিক্সে, এই পথে হারায় অস্ট্রেলিয়াকেও।
তবে দারুণ পারফরম্যান্সে দেশজুড়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে দিশা বিশ্বাসের দল। দীর্ঘদিন ধরেই নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিল এই মেয়েরা। সাফল্য পাওয়া দলের অধিনায়ক দিয়ার সঙ্গে কথা বলেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, এমনটিই জানিয়েছেন কোচ দিপু রায় চৌধুরী।
আইসিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের বোর্ড সভাপতি সবসময় আমাদের অনুপ্রেরণা দেয়। আপনি জানেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিজে একজন নারী, তিনি সবসময় উৎসাহ দেন, পর্যবেক্ষণে রাখে। আমাদের অধিনায়কের সাথে কথা বলেছে, কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যেতে বলেছে। সবমিলিয়ে আমরা খুবই এক্সাইটেড যে বোর্ড সহ সবার এমন সমর্থন পেয়ে। আমাদের দেশের জনগণের কথাও বলতে হয়, বাংলাদেশ একটা ক্রিকেট প্রেমী দেশ। সবাই খোঁজ খবর রাখে তরুণ ক্রিকেটাররা কেমন করছে। ’
মেয়েদের সাফল্যের কারণ জানিয়ে দিপু রায় বলেছেন, ‘আমরা অনেকদিন ধরেই প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম কারণ আমরা চেয়েছি পাওয়ার ক্রিকেটটা খেলতে। আমাদের লক্ষ্য ছিল ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলা। আর আমরা এখানে কিছু ভালো ক্রিকেট খেলেছি। যা দেখে আমি আনন্দিত। আমাদের মেয়েরা ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলছে দেখাটা আনন্দের। ’
‘ছেলেদের সাথে আমরা অনেক ম্যাচ খেলেছি। আর এভাবেই ওরা তৈরি হয়েছে...তারা পেস বোলারদের ভয় পায় না। আমরা দেখেছি অস্ট্রেলিয়ার নারী দলের পেসাররা ছেলেদের চেয়ে কম যায় না। কিন্তু ওদের বিপক্ষে সাবলীলভাবে খেলেছে আমাদের মেয়েরা। আমাদের আসলে নারী ক্রিকেট নিয়ে পরিকল্পনাটা ভালো ছিল। ’
মেয়েদের উঠে আসার গল্প জানিয়ে দিপু রায় বলেন, ‘আমরা তৃণমূল থেকে ক্রিকেটার তুলে আনি যেন একটা প্রতিভাও মিস না হয়। আমাদের নারী দলের ক্রিকেটাররা এখন বোর্ডের চুক্তিতে থাকে। এসব নারী ক্রিকেটকে আরও উৎসাহী করে যেন নারীরা এটাকে পেশা হিসেবে নিতে পারে। এটাই নারীদের জীবন যাত্রা বদলে দিতে পারে। কারণ এরা যদি এখানে ভালো করে সবাই আরও উতসাহী হবে আরও বেশি ক্রিকেট খেলতে। যা আমাদের দেশের জন্যও ভালো। আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জের ব্যাপার ছিল তাদের ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলানো ও দল হিসেবে গড়ে তোলা। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৩
এমএইচবি/আরইউ