সর্বশেষ টেস্ট সেঞ্চুরিটা পেয়েছিলেন ২০১৯ সালে, বাংলাদেশের বিপক্ষে। ইডেন গার্ডেনসের ওই ম্যাচে টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৭তম শতক হাঁকিয়েছিলেন বিরাট কোহলি।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের চতুর্থ টেস্টে নিজের ২৮তম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন কোহলি। আর তাতে ভর করে প্রথম ইনিংসে অজিদের ৪৮০ রানের জবাবটা দারুণভাবেই দিচ্ছে ভারত। দলকে পথ দেখানোর পথে ২৪১ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেন কোহলি, যা তার টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় ধীরগতির সেঞ্চুরি। ২০১২ সালে নাগপুর টেস্টে শতকের দেখা পেতে তাকে খেলতে হয়েছিল ২৮৯ বল, যা তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে ধীরগতির সেঞ্চুরি।
ক্যারিয়ারের আর কখনো টেস্ট সেঞ্চুরি পেতে এত বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি কোহলিকে। তার ২৭ ও ২৮তম সেঞ্চুরির মধ্যে সময়ের ব্যবধান প্রায় সাড়ে তিন বছরের। ব্যবধানটা ৪১ ইনিংসের!। এর আগে তার ১১ ও ১২তম সেঞ্চুরির মধ্যে ব্যবধান ছিল ১১ ইনিংসের। আজকের সেঞ্চুরিটি আবার কোহলির ক্যারিয়ারের ৭৫তম সেঞ্চুরি।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ১৬তম সেঞ্চুরি হাঁকালেন কোহলি। একক প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এর চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে আরও তিন জনের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই ২০ সেঞ্চুরি আছে শচীন টেন্ডুলকারের, যে রেকর্ড এখনও অক্ষুণ্ণ রয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক অজি কিংবদন্তি ডন ব্র্যাডম্যান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার মোট সেঞ্চুরি ছিল ১৯টি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৭টি সেঞ্চুরি নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানটিও টেন্ডুলকারের দখলে। তালিকার চতুর্থ ও পঞ্চম দুটি স্থানই আবার কোহলির দখলে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও তার সেঞ্চুরির সংখ্যা অস্ট্রেলিয়ার সমান (১৬টি)।
কোহলির এমন রেকর্ডময় দিনে আহমেদাবাদ টেস্টে লিডের স্বপ্ন দেখছে ভারত। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৫ উইকেটে তাদের সংগ্রহ ৪৩৬ রান। সফরকারীদের চেয়ে এখনও ৪৪ রানে পিছিয়ে রোহিতবাহিনী। কোহলি ব্যাট করছেন ব্যক্তিগত ১২১ রানে। অপরপ্রান্তে ২০ রানে অপরাজিত অক্ষর প্যাটেল।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০২৩
এমএইচএম