ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

ইংল্যান্ডে সিরিজ হলে আমাদের সমর্থক বেশি থাকবে: তামিম

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৩
ইংল্যান্ডে সিরিজ হলে আমাদের সমর্থক বেশি থাকবে: তামিম ছবি: শোয়েব মিথুন

১৩ বছর ধরে ইংল্যান্ডের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেনি বাংলাদেশ। সেই আক্ষেপটা কেবল ধীরে ধীরে বাড়ছেই।

প্রায় প্রত্যেক ক্রিকেটারেরই ইচ্ছে থাকে লর্ডস, দ্য ওভাল, ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের মতো ঐতিহাসিক ভেন্যুতে খেলার। কিন্তু আইসিসি টুর্নামেন্ট বাদে সেই ভেন্যুগুলোতে খেলার স্বাদ পাচ্ছেন না বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা। এ যেন এক অলিখিত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।  

সম্প্রতি ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ডকে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ধবলধোলাই করেছে বাংলাদেশ। তার আগে যদিও ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হেরেছে টাইগাররা। এই সিরিজের মাঝখানে ইসিবি চেয়ারম্যানের সঙ্গে ইংল্যান্ডের মাটিতে খেলার ব্যাপারে আলাপ হয়েছে বিসিবির। কিন্তু কোনো নিশ্চয়তা আসেনি।

ইংলিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিররকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিম ইকবাল ফুটিয়ে তোলেন তার আক্ষেপের সুর। ইংল্যান্ডের মাটিতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে না পারা নিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন এমন অবস্থায় আছে, সেখানে আমাদের আরও নিয়মিত অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড সফর করা উচিত এবং আমি জানি না, কেন তা হয় না। ’

‘১৩ বছর হয়ে গেছে আমরা ইংল্যান্ডে কোনো সিরিজ খেলিনি। এটা হতাশার আসলে, এতো ভালো করার পরও আমরা আবার সফর করতে পারিনি, বিশেষ করে সাদা বলের ক্রিকেটে। ’
ইংল্যান্ডের মাটিতে খেলা হলে গ্যালারির দখলটা বাংলাদেশি সমর্থকদের কাছেই বেশি থাকবে বলে জানালেন তামিম, ‘আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি ইংল্যান্ডের সমর্থকের চেয়ে বাংলাদেশি সমর্থকের সংখ্যাটা বেশি হবে। ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ইংলিশ সমর্থকদের ছাড়িয়ে গিয়েছিলাম আমরা। যদি ইংল্যান্ডে খেলার আমন্ত্রণ পাই, সেটা যেই ফরম্যাটই হোক না কেন, গ্যালারি পরিপূর্ণ থাকবে। ’

সবশেষ ২০১০ সালে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে ইংল্যান্ড সফর করেছিল বাংলাদেশ। সেই সফরে দুঃস্বপ্নের এক টেস্ট সিরিজ কাটিয়েছে টাইগাররা। তবে তামিম সেই টেস্ট দুটো মনে রাখবেন আজীবন। কেননা লর্ডস ও ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ইংলিশ বোলারদের শাসিয়ে দুটি দুর্দান্ত সেঞ্চুরি তুলে নেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তাই এমন স্মৃতি ভুলে যাওয়া অসম্ভব!

তামিম বলেন, ‘২০১০ সালের পর এখন দীর্ঘসময় কেটে গেছে। তবে সেই ইনিংস দুটো আমি সবসময়ই মনে রাখব। ইংল্যান্ডে সেঞ্চুরি করা সহজ নয়, বিশেষ করে আমাদের মতো দলের জন্য। যখন ক্রিকেট ছাড়ব, তখন আজীবনের জন্য স্মৃতিগুলো হৃদয়ে গচ্ছিত রাখব আমি। সেই দুটো ইনিংস আমার হৃদয়ের খুবই কাছের, তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমাদের আরও নিয়মিত আমন্ত্রণ জানানো উচিত। সেটাই শেষ সফর ছিল, যা দুঃখজনক। ’ 

এদিকে মে মাসে ইংল্যান্ড সফর করার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। তবে প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড নয়, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে টাইগাররা।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২৩

এএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।